পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন দলের ২৪ জন বিধায়ক ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসছেন। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তানে ইমরান খান সরকারই দেশে অর্থনৈতিক সংকট এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রায় ১০০ জন আইনপ্রণেতা ৮ মার্চ পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়েটের সামনে একটি অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার লড়াইয়ে থাকা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গেছেন।
অনাস্থা বিষয়ে পদক্ষেপের জন্য ২১ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করা হবে এবং ২৮ মার্চ ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু ইমরান খানের জন্য সত্যিকারের ধাক্কা তার নিজের দলের প্রায় ২৪ জন আইনপ্রণেতা বিরোধী দলে যোগদানের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তারা ইমরান সরকার পতনের জন্য চাপ দেয়।
এ রকমই একজন বিধায়ক হলেন রাজা রিয়াজ, যিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে ইমরান খান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে আরেক বিধায়ক নুর আলম খান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে, আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় গ্যাস সংকটের বিষয়টি অনেকবার উত্থাপন করেছি কিন্তু কিছুই করা হয়নি।
রিয়াজ বলেন, আমরা দুই ডজনেরও বেশি সদস্যের অংশ যারা সরকারী নীতিতে খুশি নন।
এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গত সপ্তাহে মিডিয়াকে বলেছিলেন, সামরিক বাহিনী নিরপেক্ষ থাকবে।
এই বিদ্রোহী সংসদ সদস্যরা এখন ইসলামাবাদের সিন্ধু হাউসে অবস্থান করছেন। সিন্ধু হাউসে থাকা পিটিআইয়ের একজন সংসদ সদস্য ড. রমেশ কুমার ভাঙ্কওয়ানি পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনকে বলেছেন, ‘আমাকে ইমরানের লোকেরা হুমকি দিয়েছে।