চলতি বছর সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মো. আমির হামজাকে মনোনীত করার বিষয়টি এ সংক্রান্ত কমিটির ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আজ বুধবার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভুল করলে ভুল সংশোধন করি। ভুল হতে পারে, মানুষ হিসেবে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে নই। তবে আমাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কমিটির দায়িত্ব পালনে নিশ্চয়ই ভুলক্রটি হয়েছে। নইলে এই ভুল হলো কেন? এটা যেমন আমার ব্যক্তিগত ব্যর্থতা এবং তেমনি কমিটিরও যৌথ ব্যর্থতা।’
তিনি বলেন, আমির হামজাকে নিয়ে অনেক ভুল তথ্য কমিটির কাছে জমা পড়েছিল। তারা অনেক ভুল তথ্য দিয়েছেন, সমস্ত সত্য গোপন করেছেন। কারা ভুল তথ্য দিয়েছেন খতিয়ে দেখব। কমিটির ফোরামে এটা আলোচনা হবে। আমাদের যেটা ভুল হয়েছে সেটা সংশোধন করেছি। আমরা কেউ চাইব না বারবার ভুল করতে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে এবার আগামী ২৫ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও হাতিরঝিলে আন্তর্জাতিক সেমিনার, আলোচনা সভা, মুক্তিযুদ্ধ কনসার্ট, নাট্যানুষ্ঠান, যাত্রাপালা, ড্রোন শো, লাইন অ্যান্ড লেজার শো, আতশবাজি ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ২৫ মার্চ সারাদেশে ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত ব্লাকআউট থাকবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আইফেল টাওয়ার ও স্ট্যাচু অব লিবার্টির মতো দেশকে চেনাবে, আমরা এমন একটি আইকনিক স্থাপনা নির্মাণ করবো। আইফেল টাওয়ারের নাম শুনলেই বোঝে এটা প্যারিসে, স্ট্যাচু অব লিবার্টি দেখলেই বোঝে ওই দেশ। এ রকম একটা কিছু আমরা রাখতে চাই। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে চিনতে পারে, এমন কিছু সিম্বলিক করা হবে।
নানা সমালোচনার পর গত শুক্রবার স্বাধীনতা পুরস্কারের সাহিত্য বিভাগ থেকে আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নতুন তালিকায় সাহিত্যে অন্য কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এর আগে ১৫ মার্চ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকার। এতে সাহিত্যে অবদান রাখায় মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পান আমির হামজা।
আমির হামজার নাম ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। প্রথম দিকে বাংলা সাহিত্যে তার অবদান নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। একপর্যায়ে হত্যা মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়।