অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েই আমি ব্যাংকের ওপর নজর দেই, বিশ্বাস স্থাপন করি। ব্যাংকগুলোকে বলেছি সরকারের অর্থসহায়তা যাতে নিতে না হয়। সে বিশ্বাস তারা রেখেছে, আমি ঠকিনি। গত তিন বছরে শর্টফল ঘাটতি কাটাতে সরকারের ফান্ড থেকে অর্থসহায়তা দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ৫০ বছরপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিতে কেউ একমত হতে পারে না। তবুও আমরা সমন্বয় করছি। ২০৩০-এ দেশের মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা লাগবে। সবার সহযোগিতায় এদেশ হবে উন্নত।
সোনালী ব্যাংক নিয়ে তিনি বলেন, জনগণের আস্থার ঠিকানা সোনালী ব্যাংক, সে আস্থার জায়গাটি ধরে রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, তফসিলি ব্যাংকগুলোর ঋণের সুদহার ১২.৩ শতাংশ থেকে ৭.১ শতাংশের মধ্যে নিয়ে এসেছি। ঋণস্থিতি ১২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। কৃষিঋণ চারগুণ বেড়েছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যুক্ত হয়েছে ১১ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ।
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রথম অর্থ সচিব মতিউল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন ও ড. আতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আতাউর রহমান প্রধান।