বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তবু ব্রাজিলের দুরন্ত ফর্ম ছুটছেই। এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলিকে গোলবন্যায় ভাসালেন নেইমাররা। দিলেন এক হালি গোল।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে হওয়া ম্যাচে ৪-০ গোলের সহজ জয় পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। নেইমার দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামার কিছুক্ষণ পর গোল করেন ফিলিপে কৌতিনহো, যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়ান রিচার্লিসন।
ম্যাচে পুরোপুরি দাপট দেখিয়েই খেলেছে ব্রাজিল। ৫৮ শতাংশ বল দখলে রেখে মোট ১৮টি শট নেয় সেলেসাওরা, যার মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ১০ শটের মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে চিলি।
৩২ সেকেন্ডেই গোলের জন্য প্রথম শট নেয় ব্রাজিল। তবে চিলি গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো কোনো বিপদ ঘটতে দেননি। আক্রমণের সেই ধারা চালিয়েই গেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
চোট কাটিয়ে পিএসজির জার্সিতে বিবর্ণ হলেও জাতীয় দলে এসে উজ্জ্বল উপস্থিতি দেখা গেছে নেইমারের। ১৯ মিনিটের মাথায় গোলও পেয়ে যেতে পারতেন। বাঁদিক থেকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পাস গোলরক্ষকের একদম সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন পিএসজি সুপারস্টার, বল পায়ে লাগালেও সেটি ধরে ফেলেন ব্রাভো।
এর চার মিনিট পর নেইমারের উঁচু ক্রসে থিয়াগো সিলভা লাফিয়ে উঠে দারুণ হেড করলে দলকে চিলিকে আরেকবার রক্ষা করেন ব্রাভো। ৩৭তম মিনিটে নেইমারের আরেকটি শট এক পায়ে ঠেকিয়ে দেন চিলি গোলরক্ষক।
অবশেষে ৪৪তম মিনিটে সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড। করেন দেশের হয়ে ৭১তম গোল। নেইমারকেই বক্সের মধ্যে ল্যাং মেরে ফেলে দিয়েছিলেন চিলির মাওরিসিও ইসলা। পেনাল্টিতে বাঁদিকের জালে সহজেই বল পাঠান পিএসজি তারকা।
এক মিনিট পর আরও এক গোল ব্রাজিলের। প্রথমার্ধে যোগ করা সময় শুরু হতেই অ্যান্টোনির অ্যাসিস্ট থেকে বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান ২-০ করেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই (৪৭ মিনিটে) অবশ্য লড়াইয়ে ফেরার সুযোগ এসেছিল চিলির। ব্রাজিলের জালে বল পাঠান হোয়াকিন মন্তেসিনোস। কিন্তু আর্তুরো ভিদাল অফসাইডে থাকায় ভিএআর দেখে সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি।
৭২তম মিনিটে স্কোর লাইন ৩-০ করে ফেলেন কৌতিনহো। এবার ব্রাভোর ভুল। সামনে ছুটে গিয়ে এন্টোনিকে ফেলে দিয়েছিলেন চিলি গোলরক্ষক। ফলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল।
যোগ করা সময়ে এক হালি পূরণ করেন বদলি হিসেবে নামা রিচার্লিসন। বক্সের ডান দিক থেকে বাঁ পায়ের জোড়ালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই ফরোয়ার্ড।
এতে ১৬ ম্যাচে ১৩ জয় আর ৩ ড্রয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে শীর্ষেই আছে ব্রাজিল। ১৫ ম্যাচে ১০ জয় আর ৫ ড্র নিয়ে দুই নম্বরে আর্জেন্টিনা।