শক্তির বিচারে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য অনেক। ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও তাই। তবে দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময় পর মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে পারল না স্পেন। তুলনামূলক দুর্বল আলবেনিয়ার বিপক্ষে দুর্ভাগ্যবশত গোল হজম করে হোঁচট খেতেও বসেছিল তারা। তবে, একেবারে শেষ সময়ে দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান গড়ে দিলেন দানি ওলমো। স্বস্তির জয়ে মাঠ ছাড়ল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ক্লাব এস্পানিওলের আরসিডিই স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে লুইস এনরিকের দল। ফেররান তরেসের গোলে স্পেন এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন উজুনি। স্বাগতিকদের জয়সূচক গোলটি করেন ওলমো।
দুই অর্ধেই ৮০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য করে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের সাত নম্বর স্পেন। গোলের উদ্দেশ্যে তাদের ১৩ শটের ৭টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে ৬৫ নম্বর আলবেনিয়া তিন শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে একটি। সেটিই পায় জালের দেখা।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত স্পেন। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ফেররানের শট গোলরক্ষক বেরিশার মুখে লেগে চলে যায় বাইরে।
ঘর সামলাতে ব্যস্ত আলবেনিয়া ৪৩তম মিনিটে আচমকা এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায়। তবে ডান দিক থেকে আরমান্দো বোরিয়ার ক্রস গোলমুখে ফাঁকায় পেয়েও প্রয়োজনীয় টোকাটা দিতে পারেননি ফরোয়ার্ড সোকোল চিকাইয়েশি।
প্রবল চাপ ধরে রেখে ৭৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। ইয়েরেমি পিনোর পাস ডি-বক্সে পেয়ে এগিয়ে আসা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফেররান।
১০ মিনিট পর সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় সমতায় ফেরে আলবেনিয়া। ডিফেন্ডার পাও তরেস বল ক্লিয়ার করতে হেড করেন, পাশেই ছুটে আসা উইঙ্গার উজুনির মাথায় লেগে বল চলে যায় জালে। এগিয়ে আসা গোলরক্ষক ঠেকানোর কোনো সুযোগ পাননি।
এমন সময়ে এভাবে গোল খেয়ে স্তব্ধ হয়ে যায় স্পেন সমর্থকরা। এর কিছুক্ষণ পরই ওলমোর ওই দারুণ গোল। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে জর্দি আলবার পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের জোরাল উঁচু শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন লাইপজিগের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।