জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জানিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, দিক-নির্দেশনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একযোগে কাজ শুরু করে। র্যাব হলি আর্টিজান হামলার মূল পরিকল্পনাকারীর বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নীতি ও কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ জঙ্গি ঝুঁকি মুক্ত। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ জঙ্গি দমনে রোল মডেল।
আজ সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে র্যাব ফোর্সেসের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুর্মিটোলা র্যাব সদর দপ্তরের শহীদ লে. কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে সভাপতির বক্তব্যে র্যাব মহাপরিচালক এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব চরমপন্থি, জঙ্গিবাদ, জলদস্যু ও সন্ত্রাস দমন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার এবং চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের আসামী গ্রেফতারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঈর্ষনীয় ভূমিকা রাখছে। র্যাব জল, স্থল ও আকাশে অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রক্তাক্ত করেছিল চরমপন্থিরা। র্যাব সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চরমপন্থিদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশে একটি গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় জঙ্গিবাদের বীজ বপন করা হয়েছিল। তারা এ দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছিল। ২১ আগস্ট ওই একই গোষ্ঠীর মদদে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। র্যাব হামলা বাস্তবায়নকারীদের গ্রেনেডসহ গ্রেফতার করেছে।
র্যাব ডিজি বলেন, ‘আমরা সুন্দরবন জলদস্যু মুক্ত করেছি। প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে দেশকে মাদকমুক্ত করে সকল মাদকাসক্তদের আলোর মুখ দেখাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই অঞ্চলে প্রতিটি মানুষ আজ শান্তিতে বাস করছে, সুন্দরবন অঞ্চলে পর্যটন শিল্প বিকশিত হচ্ছে। আত্মসমর্পণ করা ৩২৮ জন জলদস্যু পুনর্বাসিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন ও বাংলাদেশের পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর।