পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দিতে দেয়নি। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দল সংসদ ছাড়ছে না।
আমাদের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন।
পাকিস্তানের জনগণকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন ইমরান খান। তিনি বলেছেন, সংসদ ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়েছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। পাকিস্তানের জনগণকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার। এর আগে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির কাজ শুরু হতে দেরি হওয়ার কথা জানানো হয়। ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথাও বলেন ইমরান খান।
অনাস্থা পদক্ষেপের মাধ্যমে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মোট ৩৪২ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে অন্তত ১৭২ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। বিরোধী দলগুলো ১৭২-এর ‘ম্যাজিক’ নম্বর পেরিয়ে গিয়ে ১৭৪ জন সদস্যের সমর্থন নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানানো হচ্ছিল।
এমনকি খোদ ক্ষমতাসীন পিটিআইয়ের ১২ জনের বেশি ভিন্নমতাবলম্বী ছাড়াই তা সম্ভব হয়েছে বলেও জানানো হয়। আরো বলা হয়, তারা ইতোমধ্যেই প্রকাশ্যে তাদের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে ইমরান খান হাল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। শনিবার রাতে এক টিভি চ্যানেলের প্রশ্নোত্তরে ইমরান খান বলেন, শেষ মুহূর্তে কিছু চমক আসবে। তিনি শেষ বল পর্যন্ত খেলবেন। অনাস্থা প্রস্তাবকে তিনি বিদেশিদের প্ররোচনায় দুর্নীতিগ্রস্ত বিকিয়ে যাওয়া বিরোধীদের চাল বলে আখ্যায়িত করে আসছেন। ইমরান জনগণকে এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামারও আহ্বান জানিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত চমকই দেখা গেল ইমরান খানের ক্ষেত্রে। এবার তিনি জনগণকে ভোটের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন।