প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পাকিস্তানে ‘সিভিলিয়ান মার্শাল ল’ জারি করেছেন, এমন অভিযোগ তুলে বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ বলেন তার পদক্ষেপগুলো অসাংবিধানিক।
সোমবার দেশের চলমান সংকট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি শাহবাজ শরিফ। তার সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তান পিপিলস পার্টির চেয়ারপার্সন বিলওয়াল ভুট্টো- জারদারি এবং জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম পাকিস্তানের নেতা আসাদ মেহমুদ। শাহবাজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দলের নেতারা পাকিস্তানের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করেছেন’।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘৩ এপ্রিল পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘সিভিলিয়ান মার্শাল ল’ জারি করেছেন, ঠিক একইভাবে সাবেক জেনারেল পারভেজ মোশাররফও ৩ নভেম্বর ২০০৭ –এ একই ধরনের অসাংবিধানিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন’।
সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই নেতৃত্বাধীন সরকারকে সর্বগ্রাসী এবং ফ্যাসিবাদী আ্যাখা দেন। অনাস্থা ভোটে পরাজয়ের মুখোমুখী হতে হবে, এ থেকে নিজেদের বাঁচাতেই সংবিধানের ৫ ধারা প্রয়োগ করেছে বলেও অভিযোগ করেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ।
এদিকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে বহাল থাকছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। রবিবার মধ্যরাতের পর জারি করা বিবৃতিতে জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট দফতর।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪-এ (৪) অনুচ্ছেদের অধীনে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ইমরান আহমেদ খান নিয়াজি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবেন’। সুতরাং তিনি আগামী ১৫ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন বলে জানা গেছে।
প্রেসিডেন্ট কর্তৃক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে আজ সোমবার (৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।