আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের অযোগ্যতা, অক্ষমতা ও ব্যর্থতা আড়াল করার অপচেষ্টা করছেন বিএনপি নেতারা।
আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সরকার নাকি ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বানোয়াট মামলায় কারাগারে আটক রাখতে বেপরোয়া হয়ে গেছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে চিরাচরিত মিথ্যাচার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে বলেই কিছু একটা বলতে হবে বলেই এসব নেতিবাচক মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে বিএনপি।
তিনি বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার জন্যই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তাদের কর্মীদের ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, তাই দলীয় কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে বিএনপি নেতারা আবোলতাবোল বকছে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা একদিকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে, জনগণের সম্পদ এবং শান্তি নষ্ট করবে, বাসে আগুন দেবে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করবে, আর সরকার জনস্বার্থে ব্যবস্থা নিলে বলবে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে, আইন আদালতের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
শেখ হাসিনার কাছে অপরাধীর রাজনৈতিক কোনো পরিচয় নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষ দেখেছে নিজ দলের সমর্থকরা, নেতারা অপরাধী হলে সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধা দেয়নি, আইনের গতিকে কোনো বাধাগ্রস্ত করেনি।
তিনি বলেন, শুদ্ধি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে নিজ দলের অনেক নেতা।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কোনো অপরাধীকে গ্রেফতার করলেই বিএনপি ঢালাও অভিযোগ তোলেন এবং মিথ্যাচার করেন, ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে কি নিজ দলে চিহ্নিত অপরাধীদের পুষতে চান বিএনপি?
তিনি আরও বলেন, অপরাধী আর দুর্নীতিবাজ তোষণ এবং লালন নীতি বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ।
অপরাধী কিংবা অপকর্মকারীরা কখনো কোনো দলের স্বার্থের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে না- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অপরাধীদের দল যদি অন্যের ক্ষতি করার জন্য পুষতে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত অপরাধীদের দ্বারা তাদের দলেরই ক্ষতি হয়।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করে বলেন, তাহলে কি বিএনপি নিজ দলের অপরাধীদের পুষতে চান?
তিনি আরও বলেন, আমাদের সবার মনে রাখা উচিত ‘দুধ কলা দিয়ে সাপ’ পোষণ চলে কিন্তু তার ছোবল থেকে রেহাই পাওয়া যায় না।