1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

মির্জা ফখরুল কখন রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন: তথ্যমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২

বেগম খালেদা জিয়াকে নারী মুক্তিযোদ্ধা বানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কখন যে রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন সেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘রাজাকাররাও আসলে মুক্তিযোদ্ধা, কারণ তারা পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছে। সেই শঙ্কার মধ্যেই আছি, মির্জা ফখরুল কখন আবার তাদের মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন। তার কাছে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞাটা কী আমি জানি না।’

শনিবার (০৯ এপ্রিল) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে নবগঠিত ‘দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া’ থানার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে, ফিতা কেটে নতুন থানার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নারী মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেছেন দলটির মহাসচির মির্জা ফখরুল, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পাকিস্তানিদের ক্যান্টনমেন্টেই তাদের আতিথেয়তায় ছিলেন। একেবারে নতুন বউয়ের আদরে তাকে আতিথেয়তা দেওয়া হয়েছিল। এখন হঠাৎ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আবিষ্কার করলেন খালেদা জিয়া নাকি নারী মুক্তিযোদ্ধা!

ড. হাছান বলেন, মির্জা ফখরুল এই কথা বলার পর, পুলিশের আইজি এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনার যখন কথা বলেন তখন বিএনপির মহাসচিব এবং বিএনপির অন্য নেতারা পুলিশের আইজি এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনারের অনেক সমালোচনা করলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের প্রতি প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান দেশের কোন প্রচলিত আইনে সেনাবাহিনী প্রধান হয়ে, সেনাবাহিনীর ড্রেস পরে রাজনীতি করেছিলেন, বিএনপি গঠন করেছিলেন এবং রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন?’

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব যদি সেনাবাহিনী প্রধান হয়ে দল করতে পারেন, রাজনীতি করতে পারেন, আবার রাষ্ট্রপতিও হয়ে যেতে পারেন, তাহলে পুলিশের আইজি এবং ডিএমপি কমিশনার এই উদ্ভট কথার প্রতিউত্তরে যদি কিছু বলে থাকেন, সেটি যথার্থই বলেছেন। একটি অসত্য উদ্ভট কথার জবাবে প্রত্যেক নাগরিকেরই কথা বলার অধিকার আছে।

সরকার বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা তো কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে দৌড় দেন, কোনো কিছু হলেই বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ডেকে কথা বলেন। এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নিজে কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে যাতে সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করে দেওয়ার জন্য চিঠি লিখেছিলেন। এ নিয়ে নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছেন ওয়াশিংটন টাইমসে। যারা কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে দৌড় দেয় তারাই এ সমস্ত উদ্ভট কথা বলতে পারে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের সরকারের ভিত জনগণের মধ্যে। এখানে কাউকে বিদেশিরা ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বলিয়ান, আমরা জনগণের ক্ষমতাতে বিশ্বাস করি। বিদেশিদের কাছে ক্ষণে ক্ষণে দৌড় দেয় বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা।

সাম্প্রদায়িক উস্কানি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য অপচেষ্টা হয়, সেগুলো আমরা সবসময় কঠোর হস্তে দমন করেছি। কেউ যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে সেটি আমরা কঠোর হস্তে দমন করবো।

দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া নতুন থানা স্থাপন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রায় দুই বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে থানা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। প্রশাসনিক অন্য ধাপগুলো অতিক্রম করে আজ থানার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক শুরু হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়ার অন্য অংশের সঙ্গে কর্ণফুলী নদী দ্বারা দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া বিভক্ত। এই এলাকায় ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। রাঙ্গুনিয়া থানা থেকে এসে এখানে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতো। অপরাধীরা এখানকার পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যেত। সেই কারণেই এখানে থানা স্থাপন করা অত্যন্ত দরকার ছিল, স্থানীয়দেরও দাবি ছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি