নোয়াখালী শহর ঐতিহ্যবাহী অতি পুরনো শহর। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নোয়াখালীর মানুষের অবদান অনেক বেশি। শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থে ও রাজনীতিতে ঐতিহ্যে নোয়াখালীর মানুষ অন্য জেলা থেকে এগিয়ে আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সে অনুযায়ী নোয়াখালী শহরে সেইভাবে তেমন কোনো উন্নয়ন দেখা যায়নি। বর্তমান সরকার নোয়াখালীর রাস্তা ও শহরটাকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে যে প্রকল্প গুলো হাতে নিয়েছে তা দৃশ্যমান করতে গিয়ে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তাহলো শহরের মূল রাস্তার পাশে গণপূর্ত বিভাগের জমি হওয়ায় এবং উক্ত জমিতে শহরের ব্যবসায়ীদের অবকাঠামো গড়ে তোলার কারনে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সরোজমিনে আমরা প্রতিবেদকরা তদন্ত করে জানতে পারি যে, উক্ত ভবনের মালিকগণ কেউ কেউ গণপূর্ত বিভাগ থেকে নিরানব্বই (৯৯) বছরের জন্য ইজারা নিয়ে ভবন করিয়াছে। আবার কিছু লোভী দখলদার অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করিয়াছে। যাহার কারণে ফোরলাইন রাস্তা সম্প্রসারণ এর জন্য উক্ত ভবনগুলো আংশিক অংশ ভাঙ্গার প্রয়োজন রয়েছে। সরকার বাহাদুর ক্ষতিগ্রস্তদের কে তাদের স্থাপনা এবং জমির অর্থ পরিশোধ করার কথা থাকলেও বৈধ এবং অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা জটিল হওয়ায় অর্থ পরিশোধ করিতে পারিতেছে না এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্থাপনার মালিকদের সাথে কথা হলে আমরা জানিতে পারি কাহারো কাহারো জমির মালিকানা কাগজ নাই আবার কাহারো কাহারো আছে। যাদের মালিকানা আছে তাদের একজনের সাথে আলাপ-আলোচনায় মালিকানা কাগজ দেখিতে চাইলে তিনি গণপূর্ত বিভাগ থেকে নিরানব্বই (৯৯) বছরের ইজাড়াকৃত রেজিস্টি দলিল, খতিয়ান ও পৌরসভা হইতে অনুমোদিত নকশা দেখান। উদাহরণ স্বরূপ নবনির্মিত (আই.ডি) ভবনের কাগজ দেখিতে পাই। অন্যদিকে মালিকানার কাগজ দেখাতে বলায় অনেকে বিষয়টি এড়িয়ে যান। প্রতিবেদকের উক্ত বিষয়ে মন্তব্য হলো ফোরলাইনের কাজের স্বার্থে ও ঐতিহ্যবাহী নোয়াখালী শহরের উন্নয়নের স্বার্থে কার মালিকানা কি অবস্থা আছে সেই দিকে দৃষ্টি না দিয়ে ফোরলাইন রাস্তার সম্প্রসারণের জন্য জায়গা ও ভবন ভাঙ্গিয়া এবং খালি করে দিয়ে উন্নয়নের গতি দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজন মনে করি।