আমদানি ঋণপত্রের (এলসি) নগদ মার্জিন হার ন্যূনতম ২৫ শতাংশ রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে শিশুখাদ্য, জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্থানীয় ও রফানিমুখী শিল্প এবং কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানির ঋণপত্র এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে।
মূলতঃ বিলাসদ্রব্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে ডলারের উপর চাপ কমাতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য বিলাসদ্রব্য আমদানির ঋণপত্র খোলার সময় ২৫ শতাংশ অর্থ নগদে জমা নিতে বলেছে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বিরাজমান বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রেক্ষাপটে মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনার সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে শিশুখাদ্য, জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী ঔষধ, ¯স্থানীয় ও রফতানিমুখী শিল্প এবং কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট আমদানি ব্যতীত অন্যান্য সকল পণ্য আমদানির বিপরীতে ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নগদ মার্জিন হার ন্যূনতম ২৫ শতাংশ সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।’
এর আগে, সব ধরনের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, নতুন এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) আমদানি গত বছেরর একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। সেই অনুযায়ী বাড়েনি রফতানি আয়। আবার প্রবাসী আয়ও কমেছে। এ কারণে মার্কিন ডলারের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। তাতে দেশে ডলারের বিনিময় মূল্য প্রায় ৯১-৯২ টাকা। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ডলারের দাম ৮৬ টাকা ২০ পয়সা।