করোনা মহামারির অভিঘাত কাটিয়ে এবার পয়লা বৈশাখ ও ঈদের বাজার ছিল জমজমাট। যার প্রভাবে পড়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আদায়ে। গত এপ্রিল মাসে ইলেকট্রনিকস ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) ৪০৫ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকার পণ্য ও সেবা বিক্রি হয়েছে। যার বিপরীতে ২৯ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ভ্যাট আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সে হিসাবে দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ইএফডির মাধ্যমে এপ্রিল মাসে রাজস্ব বোর্ড প্রতিদিন ভ্যাট পেয়েছে ৯৭ লাখ ৭২ হাজার টাকার বেশি।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনআরবি) সম্মেলন কক্ষে ইএফডি চালানের লটারির ড্র উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানের সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন) আব্দুল মান্নান শিকদার।
তিনি বলেন, করোনার কারণে বিগত দুই বছর হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিক্রি কম ছিল। তবে এবার এপ্রিল মাসে ব্যবসায়ীদের বিক্রি বেড়েছে। আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান আছে তাতে দেখা যায় যে, প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ইএফডি মেশিনের জনপ্রিয়তা বাড়বে, কাঙ্ক্ষিত
লক্ষ্য পূরণ হবে। ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ইএফডি ব্যবহার করবেন। ক্রেতারাও তাদের চালান সংগ্রহের বিষয়ে সচেতন হবেন।
ভ্যাট ফাঁকির প্রসঙ্গে আব্দুল মান্নান বলেন, ভ্যাট ফাঁকির প্রবণতা সবসময়ই থাকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের বোঝাতে যে, আপনারা ভ্যাট সংগ্রহ করবেন ভোক্তার কাছ থেকে। সেটা যেন যথাযথভাবে আদায় করেন। অনেকেই সঠিকভাবে দিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ হয়তো ফাঁকি দিচ্ছেন। যারা ফাঁকি দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এপ্রিল মাসের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত চালানের ওপর ভিত্তি করে এ লটারি ড্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৭৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসিয়েছে এনবিআর।