ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচে এবার মুস্তাফিজকে ছাড়া দিল্লীর জুটেছে ৯১ রানের বিশাল এক পরাজয়। এবারের আসরে এটাই রানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় কিংবা পরাজয়। আসরের ৫৫তম ম্যাচে দিল্লী মুখোমুখি হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের। একাদশে দুটি পরিবর্তন আনা হলেও মুস্তাফিজ এই ম্যাচে সুযোগ পাননি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই জড়ো করে রানের পাহাড়। সেই পাহাড় টপকান দূরে থাক, কাছাকাছিও যেতে পারেনি দিল্লী।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৮ রান। দলের পক্ষে ৪৯ বলে ৮৭ রান করেন ডেভন কনওয়ে, যে ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৫টি ছক্কা। শেষদিকে ৮ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।
এছাড়া রুটুরাজ গাইকোয়াদ ৩৩ বলে ৪১ ও অসুস্থতায় ভোগা রবীন্দ্র জাদেজার বদলে সুযোগ পাওয়া শিভম দুবে ১৯ বলে ৩২ রান করেন। দিল্লীর পক্ষে বিদেশি পেসার অ্যানরিখ নরকিয়া ৩ উইকেট শিকার করেন ৪২ রানের খরচায়। এছাড়া খলিল আহমেদ শিকার করেন ২টি উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৬ রানে আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা শ্রীকর ভারতকে হারিয়ে ফেলে দিল্লী। ৩৬ রানে সাজঘরে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নারও। এরপর মিচেল মার্শের ২০ বলে ২৫ ও অধিনায়ক রিশভ পান্টের ১১ বলে ২১ রানের দুই ইনিংস বিপর্যয় প্রতিরোধের চেষ্টা করে।
তবে তারা বিদায় নিলে খেই হারিয়ে ফেলে দিল্লী। দলীয় ৯৯ রানের মধ্যে ৯ ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। শার্দূল ঠাকুরের ১৯ বলে গড়া ২৪ রানের ইনিংসে তিন অঙ্কের দেখা পেলেও শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার খেলতে পারেনি দিল্লী। ১৭.৪ ওভার ব্যাট করে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় দলীয় ইনিংস। এতে চেন্নাই পায় ৯১ রানের বিশাল জয়। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে মঈন আলী তিনটি এবং মুকেশ চৌধুরী, সিমারজিত সিং ও ডোয়াইন ব্রাভো দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
এই ম্যাচে পাওয়া জয়ে চেন্নাই সুপার কিংস প্লে-অফের আশা জিইয়ে রেখেছে। ১১ ম্যাচ খেলে দলটির পয়েন্ট এখন ৮। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দিল্লী আছে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে।