বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতো করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব ফুটবলেও পড়েছে। আর্থিক সংকটে ভুগছে অধিকাংশ বড় ফুটবল ক্লাব। কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতিতেও বিশাল অঙ্কের আয় করেছে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো দলগুলো।
‘দ্য ডিলোইট ফুটবল মানি লিগ’-এর জরিপ অনুযায়ী এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ২০টি ক্লাবের মধ্যে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। অল্প কিছু ব্যবধান নিয়ে দুইয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
বার্সেলোনা
করোনার বার্সার খেলোয়াড় ও স্টাফদের বেতন কমাতে হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এমনকি অন্য ক্লাব থেকে কিনে আনা ১৯ ফুটবলারের ১২ কোটি ৬০ লাখ ইউরো এখনো পরিশোধ করতে পারেনি ক্লাবটি। কিন্তু দেনায় জর্জরিত বার্সাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ধনী ক্লাব। ২০১৯-২০ মৌসুমে তাদের আয় ৭১৫.১ মিলিয়ন ইউরো। আগের মৌসুমে তাদের আয় ছিল ৮৪১ মিলিয়ন ইউরো। আয় কমলেও এবারও শীর্ষস্থান ঠিকই ধরে রেখেছে তারা।
রিয়াল মাদ্রিদ
২০১৯-২০ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের আয় হয়েছে ৭১৪.৯ মিলিয়ন ইউরো। ২০১৯ সালের চেয়ে তাদের আয় কমেছে মাত্র ৩৯ মিলিয়ন ইউরো। এর পেছনে অবশ্য বড় কোনো সাইনিংয়ে না যাওয়া একটা কারণ। খেলোয়াড় বিক্রি করেও ৮ শতাংশ লাভ এসেছে তাদের।
বায়ার্ন মিউনিখ
চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা শীর্ষ ধনী ক্লাবের তালিকায় এক ধাপ এগিয়েছে। জার্মান জায়ান্টরা এই প্রথম শীর্ষ তিনে উঠল। খেলোয়াড় বিক্রি করেও তাদের আয় অনেক বেড়েছে। ২০১৯-২০ মৌসুমে তারা আয় করেছে ৬৩৪.১ মিলিয়ন ইউরো।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
২০১৭ সালেও তালিকার শীর্ষে থাকা ক্লাবটি এখন চতুর্থ স্থানে আছে। ২০১৯-২০ মৌসুমে তাদের আয় হয়েছে ৫৮০ মিলিয়ন ইউরো। আগের বছরের থেকে ইংলিশ জায়ান্টদের আয় কমেছে ১৩৫ মিলিয়ন ইউরো।
শীর্ষে দশের বাকি ক্লাবগুলো হলো- লিভারপুল (৫৫৮ মিলিয়ন ইউরো), ম্যানচেস্টার সিটি (৫৪৯.২ মিলিয়ন ইউরো), পিএসজি (৫৪০.৬), চেলসি (৪৬৯.৭ মিলিয়ন ইউরো), টটেনহ্যাম (৪৪৫.৭ মিলিয়ন ইউরো) এবং জুভেন্টাস (৩৯৭.৯ মিলিয়ন ইউরো)।