1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

মুম্বাইকে বিধ্বস্ত করে আশা বাঁচিয়ে রাখলো কলকাতা

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিদায় হয়ে গেছে আগেই। তবে কাগজে কলমে আশা বাঁচিয়ে রাখতে বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ের বিকল্প নেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের। সেই জয়ের একটি তারা পেলো মুম্বাইকে বিধ্বস্ত করে। সোমবার রাতে রোহিত শর্মার দলকে ১১৩ রানেই গুটিয়ে দিয়ে ৫২ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা।

১২ ম্যাচে এটি তাদের পঞ্চম জয়। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার সাত নম্বরে উঠে এসেছে শ্রেয়াস আয়ারের দল। তিন আর চারে থাকা দুই দলই তাদের চেয়ে ২ জয় এগিয়ে। অর্থাৎ বাকি দুই ম্যাচে জিতলে প্লে-অফের আশা থাকবে কলকাতার।

ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুম্বাইয়ের ইশান কিশান (৪৩ বলে ৫১) ছাড়া কেউই সুবিধা করতে পারেননি। রোহিত শর্মা করেন মাত্র ২। বাকিরাও কেউ বিশের ঘর ছুঁতে পারেননি। ১৭.৩ ওভারে ১১৩ রানেই থামে মুম্বাই।

কলকাতার প্যাট কামিন্স ২২ রানে ৩টি আর আন্দ্রে রাসেল সমান রান খরচায় নেন দুটি উইকেট।

এর আগে জাসপ্রিত বুমরাহর ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের (৫/১০) পরও ভেঙ্কটেশ আয়ার এবং নিতিশ রানার মাঝারি দুটি ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের পুঁজি দাঁড় করায় কেকেআর।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভেঙ্কটেশ আয়ার উড়ন্ত সূচনা এনে দেন কলকাতাকে। ৩৪ বলের উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান তুলে দেন এই ব্যাটার, যার মধ্যে আজিঙ্কা রাহানের অবদান ছিল ১০ বলে ৯।

মারমুখী আয়ার ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন। পঞ্চম ওভারে রিলে মেরেডিথকে একটি করে চার-ছক্কা হাঁকান। ষষ্ঠ ওভারে কুমার কার্তেকিয়ার ওপরও চড়াও হয়েছিলেন ভেঙ্কটেশ।

প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর পর তৃতীয় বলটি সীমানার ওপারে আছড়ে ফেলেন। কিন্তু ওই ছক্কার পরই কার্তেকিয়ার বাঁহাতি স্পিনে কভারে ক্যাচ তুলে দেন ভেঙ্কটেশ। ২৪ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় ৪৩ রানে ফিরতে হয় কলকাতা ওপেনারকে।

ধীরগতির ব্যাটিং থেকে বের হতে পারেননি রাহানে। টুকটুক করে এগোতে থাকা কলকাতা ওপেনার ২৫ বলে ২৪ করে শেষ পর্যন্ত কার্তেকিয়ার বলে বোল্ড হন।

তবে সঙ্গী হারিয়ে যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেন নিতিশ রানা। ওই ওভারেই শেষ দুই বলে টানা ছক্কা হাঁকান। এক ওভার পর পোলার্ডকে হাঁকান আরও দুই ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৪৩ রান করে জসপ্রিত বুমরাহর বলে ইশান কিশানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি।

এরপরের ব্যাটাররা অবশ্য দাঁড়াতেই পারেনি মুম্বাই বোলারদের সামনে। শ্রেয়াস আয়ার আউট হন ৮ বলে মাত্র ৬ রান করে। আন্দ্রে রাসেল করেন ৫ বলে ৯ রান। শেলডন কটরেল করেন ৭ বলে ৫ রান।

কামিন্স, সুনিল নারিন, টিম সাউদি আউট হন শূন্য রানে। বরুন চক্রবর্তি শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ১৯ বলে ২৩ রানে রিঙ্কু সিং অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে।

জসপ্রিত বুমরাহ ছাড়াও ২ উইকেট নেন কুমার কার্তিকেয়া, ১টি করে উইকেট নেন ড্যানিয়েল শামস এবং মুরুগান অশ্বিন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি