বাংলাদেশের সমুদ্র গবেষণায় প্রতিশ্রুতিশীল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ওশানোগ্রাফি বিভাগ ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ওশানোগ্রাফি বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (গড়ট) স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১০ মে ২০২২) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান এবং নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা চুক্তিতে নোবিপ্রবির পক্ষে স্বাক্ষর করেন মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আব্দুল বাকী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মাননীয় কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নোবিপ্রবি বঙ্গোপসাগরে যৌথভাবে গবেষণার নতুন দ্বার উন্মেচিত হলো।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, ঢাবি ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব কে এম আজম চৌধুরী ও নোবিপ্রবি ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব নাজমুস সাকিব খান সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এ ধরণের সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। আমি আশা করবো ভবিষ্যতে নানা ক্ষেত্রে এ ধরণের সহযোগিতার পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। অন্যান্য বিভাগগুলোও এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করছি।’
অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘আমাদের দেশে জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে কিন্তু ভূমি সীমিত। তাই আমাদের সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের বিশাল-বিস্তৃত সমুদ্রসীমা রয়েছে, এই রিসোর্সকে কাজে লাগাতে হবে। সমুদ্রের প্রাকৃতিক সম্পদ, মৎস সম্পদ এ সবই আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন নতুন নতুন গবেষণা ও ভালো মানের গবেষক। নোবিপ্রবি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত এ সমঝোতা স্মারক ভবিষ্যতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে যেতে আরও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি।’