সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জো বাইডেন। এর সপ্তাহের পর এই সিদ্ধান্ত নিল বাইডেন প্রশাসন।
দুই আরব দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রির এ অনুমোদন দিয়েছিলেন সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই অ্যান্তনি ব্লিনকেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আল-জাজিরার।
ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদন দেওয়া সেই অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যালোচনা করে দেখছে বলে ব্লিনকেন জানান।
বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েই বুধবার প্রথম প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমাদের কৌশলগত লক্ষ্য ও পররাষ্ট্রনীতি উন্নয়নে ওই দুই দেশে অস্ত্র বিক্রি কতটা সহায়ক, তা নিশ্চিতে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বুধবার প্রথম খবর দেয় যে, বাইডেন প্রশাসন সৌদি ও আমিরাতের কাছে কয়েক হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
এসব অস্ত্রের মধ্যে ছিল, আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান এবং সৌদি আরবের কাছে প্রিসিশন গাইডেড মিউনিশন মারণাস্ত্র, যা স্বল্প সময়ের মধ্যে চিহ্নিত টার্গেট ধ্বংস করে ফিরে আসে।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক ফের মূল্যায়নে কাজ শুরু করার এক সপ্তাহ পর পদক্ষেপ আসল।
২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে হোয়াইট হাউসে কাজ শুরুর প্রথম ধাপেই ট্রাম্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি পর্যালোচনা বা বাতিলে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি।
ইসরায়েলকে নজিরবিহীন সমর্থন ও ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতির পাশাপাশি সৌদি আরব ও আমিরাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন ট্রাম্প।
২০১৯ সালের মে মাসে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা পরিস্থিতিতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ওই সময় সৌদি আরব, আমিরাত ও জর্ডানের কাছে ট্রাম্পের আট বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মার্কিন কংগ্রেস।
ক্ষমতা ছাড়ার আগ মুহূর্তে গত বছরের ডিসেম্বরে আগে সৌদি আরবকে ২৯ কোটি ডলার মূল্যের ছোট অস্ত্র বিক্রির ডিক্রি অনুমোদন করেছিলেন ট্রাম্প।