সার্কের সদর দপ্তর নেপালের কাঠমান্ডুতে ‘সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল কান্ট্রিস ব্রিলিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ সম্মানে ভূষিত হলেন প্রতিশ্রুতিশীল শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুস সাকিব। সার্ক দেশসমূহের ৬৫০০ জন মনোনীতদের মধ্যে ১০০ জনকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়, যার মধ্যে তিনি শীর্ষ ২০-এ স্থান পেয়েছেন।
কভিড-১৯ মহামারিতে স্বাস্থ্য খাতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি এই আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হন। মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি সম্প্রতি কাঠমান্ডুর নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে নেপালের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী সুজাতা কৈরালা, নেপাল ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ইন্দ্র বাহাদুর থাপা, ভারতের আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সদস্য ডা. দীনেশ উপাধ্যায়, ওয়ার্ল্ড বুক অব স্টার রেকর্ডসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. রাজীব পাল, সেলিব্রিটি গায়িকা ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সন্তাশ্রী ভট্টাচার্য, নেপাল সরকারের প্রাক্তন সচিবালয় পিএমও ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট দিনদয়াল রিজাল এবং মিসেস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ২০১৯ বিজয়ী এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও ভারতের জাতীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা দূত সিদ্ধি জোহরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. নাজমুস সাকিব ১৩ বছর ধরে চীনের বেইজিংয়ে বসবাসকারী একজন শিশু বিশেষজ্ঞ। চট্টগ্রামের বিখ্যাত সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ও লেভেল এবং এ লেভেল পাস করে চীনের বেইজিংস্থ প্রখ্যাত ক্যাপিটাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস ও এমডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি পিকিং ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি অধ্যায়নের পাশাপাশি চীন সরকারের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রজেক্টেও কাজ করছেন। তিনি ন্যাশনাল সেন্টার ফর চিলড্রেনস হেলথ, বেইজিং চিলড্রেনস হসপিটালে কাজ করেছেন।
ডা. নাজমুস সাকিব চীন ও বাংলাদেশে কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি করোনা বিষয়ে বহু আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর কভিড-১৯, ‘স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি’ বিষয়ে প্রকল্পগুলো বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় ‘এমআইটি’তে তালিকাভুক্ত হয়েছে। তিনি তাঁর প্রকল্প ‘এআই ক্লাউড ফর ডিজিটাল হেলথ কেয়ার’ সিলিকন ভ্যালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রিত হন।