সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে শ্রীলঙ্কায়। পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
শনিবার রাত থেকে বিক্ষোভকারীরা নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সরকারি বাসভবনের বাইরে অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে শ্রীলঙ্কায় জারি করা কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন শুরু করেন রনিল। এদিন চার মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল রনিলকে সমর্থন দিতে অস্বীকার করেছে। তবে বেশ কয়েকটি ছোট দল বলছে, তারা অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করবে।
দেশটির অর্থনীতি কার্যত অচল হয়ে পড়ায় গত ৯ মে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে বিক্ষোভে জড়ো হন লাখো জনতা। সেখানে সরকার সমর্থকরা আন্দোলনকারীদের মারধর শুরু করলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবিতে চলা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন পরিশেষে ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে চলে যায়। এরপর দুই দিনের সহিংসতায় দেশটিতে নয়জন নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হন আরও তিনশ জনের মতো।
পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে দেশটির সরকার। এমনকি বিশৃঙ্খলাকারীদের দেখামাত্রই গুলি করারও নির্দেশ দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।