1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে কোটিপতি: সিডিএর গাড়ি চালক মহিউদ্দিনের অবৈধ সাম্রাজ্য! কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-বাবরসহ আটজন শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে   আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব ইউএন হাউজ উদ্বোধন করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পাবেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

দেশে উৎপাদিত চা যাচ্ছে ২৩ দেশে, দিন দিন বাড়ছে আ

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

দেশে চা উৎপাদন ও রপ্তানির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে চা রপ্তানি করে মোট ১৫০ কোটি ২৪ লাখ ৭০০ টাকা আয় হয়েছে। এর মধ্যে গত দুই বছরে রপ্তানি আয় হয় প্রায় ৫৩ কোটি  টাকা। দেশে উৎপাদিত চা বিশ্বের ২৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

আর গত বছর দেশে চা উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে।বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসম্মত চা উৎপাদনের দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। দেশে সাধারণত পাঁচ ধরনের চা উৎপাদন হয়। এগুলো হলো—সিটিসি, অর্থোডক্স, গ্রিন টি, সিলভার টি ও হোয়াইট টি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি। মোট দুই লাখ ৮৭ হাজার ৪২২.৬৯ একর ভূমিতে (বাগানসহ) চা উৎপাদন করা হয়। দেড় দশক আগেও দেশে চা আমদানির পরিমাণ ছিল ৭০ থেকে ৮০ লাখ কেজি। বছর বছর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে সেই আমদানির পরিমাণ এখন ১০ লাখ কেজির নিচে নেমে গেছে।

চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত বছর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয় ১৮ কোটি ২৭ লাখ ৯০০ টাকার চা। এর আগের বছর রপ্তানি করা হয় ৩৪ কোটি ৩২ লাখ ৯০০ টাকা। তার আগের বছর ২০১৯ সালে রপ্তানি হয়েছিল ১১ কোটি ৬৫ লাখ ১০০ টাকার চা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশে চায়ের উৎপাদনও বাড়ছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে দেশে চা উৎপাদন ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। ২০১৯ সালে দেশে চা উৎপাদন হয় ৯ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার কেজি। করোনার কারণে ২০২০ সালে উৎপাদন কিছুটা কমে আট কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজারে নামলেও ২০২১ সালে চায়ের উৎপাদনের রেকর্ড হয়।

চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানিও করছি। ২০২৫ সালে দেশের চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ কোটি কেজি। আর চলতি বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ কোটি কেজি। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বাগান মালিকদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের ২৩টি দেশে চা রপ্তানি করা হচ্ছে। ’

চা বোর্ড সূত্র জানায়, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের উৎপাদিত চায়ের চাহিদা রয়েছে। চীন, জাপান, পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ২৩ দেশে চা রপ্তানি করা হচ্ছে। এর আওতা আরো বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলছে

শুক্রবার ইন্ডিয়ান টি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইটিইএ)এর চেয়ারম্যান অংশুমান কানোরিয়া এ কথা জানান।

এদিকে শ্রীলঙ্কার সংকটের জেরে গোটা বিশ্বের চায়ের বাজারে একটি শূন্যস্থান তৈরি হয়েছিল। আর সেই সুযোগে ভারতীয় টি বোর্ড রফতানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সেই আশাতেও এবার গুড়ে বালি। ইন্ডিয়ান টি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অংশুমান কানোরিয়া জানিয়েছেন, অস্বাভাবিকভাবেই উচ্চহারে রাসায়নিক রয়েছে এমন চা কিনতে চায় না বেশিরভাগ ক্রেতা।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে ভারত ১৯৫.৯০ মিলিয়ন কেজি চা রফতানি করেছিল। ভারতের চা মূলত ইরান ও কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোতে যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি