চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ রবিবার এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন ১১ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণে আসতে দেরি হচ্ছে। ডিপো এলাকায় পানির স্বল্পতায় আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
এ অবস্থায় আগুন ও ছড়িয়ে পড়া কেমিক্যাল নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ১৫০-২০০ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দীন।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই দলটি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছাবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানায়, রাত ১১টার সময় তারা আগুন লাগার খবর পায়। তখন থেকেই তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। আজ রবিবার সকাল পৌনে ১০টায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
ডিপোতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত নিহত বেড়ে ১৯ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মী রয়েছেন।
আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও আছেন।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে অনেককে ওয়ার্ড ছাড়াও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৪ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, আগুন লাগার পর কনটেইনারে বিস্ফোরণ হয়, সেখানে থাকা কেমিক্যালের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।