কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ট্রফি ভ্রমণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এসেছে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (৮ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের লবিতে ‘ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি’ বরণ উপলক্ষ্যে আগত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন।
এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের খেলাধুলায় বিশেষ করে ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ওপর স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন তার পিতামহ, পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাইয়েরা, সন্তানরা এমনকি নাতি-নাতনিরাও অত্যন্ত ক্রীড়ামোদী এবং ক্রীড়াবিদ ছিলেন। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফির আগমনে ফিফা, কোকাকোলা এবং বাফুফে কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আশা প্রকাশ করেন ফিফা ট্রফির বাংলাদেশ ভ্রমণের ফলে দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম উৎসাহিত হবে। তিনি বলেন, ‘ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।’
সবশেষে ফিফা এবং কোকাকোলার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব (সিনিয়র সচিব) খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া সাচিব মেজবাহ উদ্দিন, বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দীন, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগসহ ফিফা, কোকাকোলা এবং বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে বিকেলে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতিনিধিরাসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফিটি প্রদর্শন করেন।
কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে গত ১২ মে দুবাই থেকে কোকাকোলার আয়োজনে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্বভ্রমণ শুরু হয়। ৫৬টি দেশ ঘোরার পথে ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক কোকাকোলার উদ্যোগে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহায়তায় বাংলাদেশে এসেছে ট্রফিটি।
এর আগেও বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফির আগমন হয়েছিল। তবে ২০১৩ সালে যে ট্রফিটা এসেছিল, সেটি ছিল রেপ্লিকা। এবার এসেছে আসল ট্রফি।
ঢাকায় ৩৬ ঘণ্টা থাকবে বিশ্বকাপ ট্রফি। ৯ জুন বিকেলে আর্মি স্টেডিয়ামে ট্রফির আগমন নিয়ে হবে কনসার্ট। ঢাকা সফর শেষে বিশ্বকাপ ট্রফির পরবর্তী গন্তব্য পূর্ব তিমুর।