আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন, ইনডেমনিটি দিয়েছেন। শেখ হাসিনার কিছু হলে আওয়ামী লীগ ঘরে বসে আঙুল চুষবে না। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, রাজপথে থাকবে, রাজপথে সমুচিত জবাব দেবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার অপমান আমরা কোনো দিনও সহ্য করব না, আমরা প্রতিবাদ করব, প্রতিরোধ করব, প্রতিশোধ নেব।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও কটূক্তির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ হুশিয়ারি দেন।
আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে এবং বিজয় অর্জন করবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করলে আমাদের আবেগে লাগে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে খারাপ কথা বললে আমাদের খারাপ লাগে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে অপমান করলে আমরা অপমানিত বোধ করি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল বলে পদ্মা নদীর দুই দিকে নাকি খালেদা জিয়া ভিত্তিপ্রস্তর দিয়েছে। আমি তাঁকে বলেছি, কবে কখন কোথায় আপনার নেত্রী ভিত্তিপ্রস্তর দিয়েছে? নাজমুল হুদা বলেছেন এমন কিছু হয়নি। অথচ ফখরুল মিথ্যাচার করছে। তাঁকে আন্তর্জাতিক নোবেল কমিটি মিথ্যাচারের ওপর একটা নোবেল পুরস্কার দিতে পারে। ফখরুল সাহেব, আর কত মিথ্যা বলবেন?’
দেশের মানুষ শেখ হাসিনার ওপর খুশি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাঁর সততায় মানুষ মুগ্ধ। কিন্তু বিএনপি নেতাদের মন খারাপ। তাঁদের বুকে শ্রাবণের আকাশের কালো মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। তাঁরা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন তাঁরা দেখে না। পদ্মাসেতু ২৫ তারিখ, মেট্রোরেল আসছে। বঙ্গবন্ধু টানেল, মাতারবাড়ি আসছে। একের পর এক শেখ হাসিনা যখন উদ্বোধন করবেন তখন আপনার চোখে সর্ষে ফুল দেখবেন।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নিজেরা কিছু করতে পারেন নাই। যে নিজে চোর, সেই অন্যকে চোর বলে। যে নিজে লুটপাট করেছে সেই অন্যকে লুটপাটকারী বলে। তোমরা মিথ্যাচার করো, অপপ্রচার করো। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন করে এসবের সমুচিত জবাব দেব।’
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম, মাহবুবুল আলম হানিফ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা–কর্মীরা।