প্রথম দুই ম্যাচে জয় পায়নি, ডেনমার্কের বিপক্ষে হেরেই গিয়েছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপাধারী ফ্রান্স। এক ম্যাচ পরই আবার হার চোখরাঙানি দিচ্ছিল কারিম বেনজেমাদের। তবে কিলিয়ান এমবাপের শেষ সময়ের গোলে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে হার এড়িয়ে শেষমেশ ড্র করেছে দলটি।
ডেনমার্কের কাছে হার, আর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ড্র, প্রথম দুই ম্যাচে এই ফলাফল ছিল ফ্রান্সের। তবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১১ আর ১৬তম অবস্থানে থাকা ডেনমার্ক আর ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে শক্তিসামর্থ্যে ৩৪তম দল অস্ট্রিয়া খানিকটা দুর্বল, তাদের বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নেওয়াটা তুলনামূলক সহজই হওয়ার কথা ফ্রান্সের জন্য।
তবে তা তো হলোই না, উল্টো প্রথমে গোল হজম করল ফরাসিরাই। এরন্সট-হাপেল স্টেডিয়ামে গত রাতের এই ম্যাচে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলা ফরাসিরা গোটা দুয়েক ভালো সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। রক্ষণ সামলে আক্রমণের কৌশলে মাঠে নামা অস্ট্রিয়ানরা এগিয়ে যায় ৩৭ মিনিটে। কনরাড লাইমারের পাস থেকে গোলটি করেন আন্দ্রেয়াস ভাইমার।
একটু পর আরও একটা সুযোগ পেয়েছিল দলটি। মার্কো আর্নাতোভিচের শট ফরাসি গোলরক্ষক বরাবর না হলেই হয়তো গোলের দেখা পেয়ে যেত স্বাগতিকরা। তাতে ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।
পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া ফ্রান্স সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে দ্বিতীয়ার্ধে। এক পর্যায়ে অ্যান্টোয়ান গ্রিজমানকে তুলে মাঠে আনা হয় কিলিয়ান এমবাপেকে। পরে তিনিই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন। ৮৩ মিনিটে ক্রিস্টোফার এনকুকুর সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে দারুণ এক শটে গোল করেন এমবাপে। তাতেই ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।
তবে এই ড্রয়ের পর পয়েন্ট টেবিলে অবনতি হয়েছে ফ্রান্সের। গ্রুপ এ১-এ ৪ দলের মধ্যে বর্তমানে সবার নিচে আছে ফ্রান্স।
দিনের অন্য ম্যাচে মারিও পাসালিচের একমাত্র গোলে ডেনমার্ককে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। তবে এই গ্রুপের শীর্ষে আছে ডেনমার্কই। ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দলটি আছে তালিকার শীর্ষে। আর অস্ট্রিয়া-ক্রোয়েশিয়া সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার ২ ও ৩-এ।