প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার এক তরুণী (২০) এর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন এক যুবক। এরপর কিশোরী মকছুদুল ইসলাম তাহদিলকে (২৪) বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে নানা টালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে কিশোরীকে মুখ না খুলার জন্য নানা ভয়ভীতি দেখানো হয়। এ ঘটনায় তরুণী শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতেই ধর্ষণের অভিযোগে থানায় তাহদিলকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।মামলার এজহার নামীয় আসামি মকছুদুল ইসলাম তাহদিল জালালাবাদ থানাধীন বাছিরপুর মোল্লাবাড়ী গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। মামলা দায়েরের পর থেকে লাপাত্তা রয়েছেন তাহদিল।
পুলিশ জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাহদিল জালালাবাদ থানাধীন নোয়াগাঁও গ্রামের ওই তরুণীর বাড়িতে যায়। এসময় তাহদিল জোরপূর্ব ওই তরুণীকে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। শনিবার রাতে ওই তরুণীকে জালালাবাদ থানা পুলিশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান। তিনি বলেন, তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে থানায় ভিকটিম বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ মামলা হিসেবে তা নথিভুক্ত করে। মামলার এজহার নামীয় আসামি একজন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আর কিশোরীকে হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।