গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আছাদুজ্জামান ওরফে টিটু শরীফ হত্যা মামলায় ১৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ের আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে এই রায় ঘোষণা করা হয়।এ মামলার অপর ১৫ আসামিকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় চার আসামি পলাতক ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সেন্টু চৌধুরী, পলাশ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ চৌধুরী, বক্কার চৌধুরী ওরফে আকবর, সোহেল চৌধুরী, শহিদুল শেখ, পলাশ খাঁ, তুহিন মোল্লা ওরফে মাহামুদ হাসান, সবুজ মোল্লা, রফিুকল ইসলাম, নতুন চৌধুরী, মশিউর চৌধুরী ওরফে মশিউর রহমান চৌধুরী, অলিউল্লাহ ওরফে বাবু চৌধুরী, তরিকুল সরদার ও জিহাদ চৌধুরী।
খালাস প্রাপ্ত আসামীরা হলেন- পান্নু চৌধুরী, সালমা বেগম, আজিজ সরদার, এনাম ওরফে ইনাম ওরফে এনামুল, দুলু শিকদার, সাদ্দাম ওরফে মো. ছাদ্দাম কাজী, আজ্জম চৌধুরী ওরফে আজজোম চৌধুরী, নাইম কাজী, ইমদাদুল শেখ ওরফে ইনদাদুল, আলামিন শেখ, দুলাল ওরফে শুক মিয়া, মো. ইউসুব আলী ওরফে ইউসুফ চৌধুরী, নুরুজ্জামান চৌধুরী, শুভ চৌধুরী, মাসুদ মোল্লা ও রিকায়ে মোল্লা।
এই মামলায় ৩১ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আদালত সূত্রে ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ জুলাই দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আছাদুজ্জামান ওরফে টিটু শরীফ মোটরসাইকেল করে যাওয়ার সময় আসামিরা নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানাধীন চর শিংগাতী গ্রামের রাস্তার ওপর তার গতিরোধ করে কুপিয়ে হত্যা করে।
এই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আশিকুজ্জামান শরীফ বাদী হয়ে নড়াগাতি থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নড়াগাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিমাই চন্দ্র মণ্ডল ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই ৩১ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।