1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ অপরাহ্ন

পদ্মা সেতু : বেনাপোল স্থলবন্দরের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে, বাড়বে প্রবৃদ্ধি

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সংবাদের পর থেকেই যশোরের সর্বসস্তরের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। অল্পসময়ে ঢাকা যাতায়াতই শুধু নয় এই সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে সঙ্গে এই জেলাতেও ঘটবে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার। দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে প্রবৃদ্ধি। তা ছাড়া পচনশীল দ্রব্য যেমন কাঁচা শাকসবজি, মৎস রেণুপোনা দ্রুত সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি বিদেশেও পাঠানো সম্ভব হবে। ফুল চাষের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের জন্যও শুভবার্তা এই পদ্মা সেতু উদ্বোধন।

দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন আর যোজন যোজন দূরে নয়। সকল জল্পনা-কল্পনা আর ষড়যন্ত্র চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে আগামী ২৫ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার মধ্য দিয়ে খুলে যাচ্ছে স্বপ্নের দুয়ার। সময় যত ঘনিয়ে আসছে যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ ততই এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্ন পূরণের কাছাকাছি। এ সেতু কেবল উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখাচ্ছেনা বরং উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যাওয়ার হাত ছানি দিচ্ছে।

মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি এখন শতভাগ। এখন চলছে স্মরণীয় উদ্বোধনের প্রস্তুতি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তে বিশ্বব্যাংক নানা টালবাহানা করে অর্থ প্রদানে সরে দাঁড়ালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ শুরু হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতুর।

ইতোমধ্যে সেতু মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে- ২৫ জুন এই সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে সারা দেশের মতো যশোরের মানুষও শুরু করেছে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনায় ক্ষণগণনা। এই জেলা থেকে এখন ঢাকা যেতে সড়ক পথে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। কখনো-কখনো ঘাটেই বসে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। আর পদ্মা সেতু দিয়ে সকালে ঢাকায় প্রয়োজনীয় কাজ সেরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে পারবে এই স্বপ্নে বিভোর সবাই।

বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, শত চক্রান্ত মোকাবেলা করে নিজেদের অর্থায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণ করেছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এই সেতুর ফলে যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। আমাদের জীবন যাত্রার মান আরো উন্নত হবে। তিনি বলেন, ঢাকার সাথে আমাদের যোগাযোগের সময় এবং খরচ কমবে। ব্যবসা বাণিজ্যেও প্রসার ঘটবে।

জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এই সেতু একটা যুগান্তকারী সৃষ্টি। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে মংলা, ভোমরা, বেনাপোল বন্দরের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। বেকার সমস্যার সমাধান হবে অনেকটা।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ব্যাসায়ী নেতা হুমায়ুন কবীর কবু বলেন, পদ্মা সেতুর জন্যে যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলা ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সাধারণ মানুষের জীবনমান বৃদ্ধি পাবে। এই অঞ্চলের মানুষ কাজের খোঁজে ঢাকায় যাবে না এই এলাকায় গড়ে উঠবে অনেক কলকারখানা।

প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, পদ্মাসেতুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের যুগান্তকারী উন্নয়ন হবে। নড়াইলের কালনা হয়ে ঢাকা যেতে আমাদের সময় লাগবে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। তিনি বলেন যশোরের শাকসবজি অল্প সময়ে ঢাকা পৌঁছানো সম্ভব হবে, ফলে কৃষকও লাভবান হবে।

যশোরের সাংস্কৃতিকজন হারুন অর রশিদ বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে যশোরের মানুষ তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকায় যেতে পারবে এবং কাজ সেরে দিনেই ফিরতে পারবে। তাছাড়া যশোরের পণ্য অল্প সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানো যাবে। তিনি বলেন যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে উঠবে।

পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু বলেন, পদ্মাসেতুর ফলে এই অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে পাশাপাশি এই অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। যার ফলে বেকারদেরও কর্মসংস্থান হবে।
খবর বাসস

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি