মানবপাচারের দায়ে কুয়েতে চার বছরের কারাদণ্ড হয়েছে বাংলাদেশের সংসদ সদ্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের। বিদেশে দণ্ডপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলসহ আট জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলায় মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়েছে।রোববার নির্ধারিত দিনে পল্টন থানার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ সুপার ইকবাল হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।তার সময়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ১০ মার্চ রেখেছেন।মামলার অন্যতম আসামি গোলাম মোস্তফা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এদিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ইকবাল হোসেন ডটকমকে বলেন, গোলাম মোস্তফার এই স্বীকারোক্তি নিজেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আর কার কার নাম আসামি মোস্তফা বলেছেন, তা বলা যাবে না।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার আলামিন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এই মামলা করেন।মলার অপর আসামিরা হলেন- পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জেসমিন প্রধানের কোম্পানি জে ডব্লিউ লীলাবালী, কাজী বদরুল আল লিটনের মালিনাধীন কোম্পানি জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল, এই কোম্পানির ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫-৬ জন।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন সময় ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। আর এর সঙ্গে পাপুল ও তার মেয়ের প্রতিষ্ঠান জড়িত