নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদে জানিয়েছেন, দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৭ জনের নামে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। এদের মধ্যে এক লাখ ৯১ হাজার ৮৯৮ জন সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন।
রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সদস্য ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৩৩ ধরনের প্রমাণকের যেকোনও একটিতে নাম থাকলেই ভাতা প্রাপ্য হবে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। সেটি যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্তকরণের পর ভাতা প্রাপ্য হবেন।
জলভাগ ও স্থলভাগের আয়তন: দেশের জলভাগ ও স্থলভাগের আয়তন জানাতে পারেননি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। সরকারী দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সূত্রে বা অন্য কোনও সরকারি সংস্থার কাছ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে জলভাগ এবং স্থলভাগের আয়তন সম্পর্কিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। জনগণের কল্যাণে স্থলভূমি অর্থাৎ কৃষিজমি, বনভূমি এবং জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
সরকারী দলের আরেক সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী জনান, ব্যক্তি ও পরিবারভিত্তিক কৃষি জমির মোট পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর অর্থাৎ ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে কোনো ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয় না। উক্ত মওকুফের আওতায় ইক্ষু আবাদ, লবণ চাষের জমি এবং কৃষকের পুকুর (বাণিজ্যিক মৎস্য চাষ ব্যতিত) অন্তর্ভুক্ত হবে। ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফের আওতাধীন কৃষি জমির সংশ্লিষ্ট প্রতিটি হোল্ডিং-এর জন্য আবশ্যিকভাবে বার্ষিক ১০ টাকা হারে আদায় করতে হবে।