সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও বাড়ছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি। ফলে অবনতি হচ্ছে জেলার বন্যা পরিস্থিতি। তবে শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (২২ জুন) সকালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের গেজ রিডার হাসানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও বাড়ছে ইছামতি, ফুলঝোড়, করতোয়া, বড়াল ও চলনবিলের পানি। জেলার এ সকল অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ইতোমধ্যেই জেলার পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বানভাসিরা। এরই মধ্যে এ সকল এলাকার ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির আউস ধান, পাট, তিল, কাউন, বাদামসহ উঠতি ফসল নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক।
এদিকে কাজ না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার শ্রমজীবীরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই। বন্যা কবলিত এলাকায় এখনো শুরু হয়নি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ বিতরণ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের গেজ রিডার হাসানুর রহমান জানান, আজ বুধবার ভোর থেকে শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।