1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন

ভারতেও চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২

ভারতে শিগগিরই চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। দেশটির সরকার গত বছর ই-পাসপোর্টের ব্যাপারে ঘোষণা করেছিল। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুক্রবার (২৪ জুন) নিশ্চিত করেছেন চলতি বছরের শেষ নাগাদ ই-পাসপোর্ট চালু হবে।

জয়শঙ্কর বলেন, ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারত সরকারের লক্ষ্য ‘নাগরিকদের অভিজ্ঞতা এবং জনসাধারণের জন্য পরিষেবা’ উন্নত করা।

তিনি বলেন, পাসপোর্ট সেবা দিবস ২০২২ উপলক্ষে ভারতে এবং বিদেশে আমাদের সব পাসপোর্ট ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগদান করা আমাকে খুব আনন্দ দেয়। যেহেতু আমরা এই বছরের ২৪ জুন পাসপোর্ট সেবা দিবস উদযাপন করছি, আমরা পরবর্তী স্তরের নাগরিক অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখি।

ই-পাসপোর্ট নতুন ধারণা নয়। ১০০টিরও বেশি দেশ ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট অফার করছে। আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, মালাওয়াই, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ-সহ অনেক দেশ ই-পাসপোর্ট চালু করেছে। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা এই তথ্য জানাচ্ছে।

যদিও ই-পাসপোর্টগুলো একটি সাধারণ পাসপোর্টের মতো একই কাজ করবে। তবে তার ভেতরে একটি ছোট ইলেকট্রনিক চিপ রাখা থাকবে। কিছুটা চালকের লাইসেন্সের মতো। পাসপোর্টের ভেতরে ব্যবহৃত চিপটি পাসপোর্টধারীর সব গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ সংরক্ষণ করবে। এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে— নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য।

ই-পাসপোর্টগুলো রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন চিপ ব্যবহার করবে। পেছনের কভারে একটি ইনলে হিসেবে এম্বেড করা একটি অ্যান্টেনা থাকবে। এই চিপের সাহায্যে একজন ভ্রমণকারীর বিবরণ দ্রুত যাচাই করা যাবে। একটি ই-পাসপোর্ট ইস্যু করার পেছনে অন্যতম বড় কারণ জাল পাসপোর্ট কমানো এবং নিরাপত্তা বাড়ানো এবং ডুপ্লিকেশন ও ডেটা টেম্পারিং কমানো।

ভারতের টেক জায়ান্ট টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিস (টিসিএস) ই-পাসপোর্ট নিয়ে কাজ করছে এবং এই বছরের শেষ নাগাদ পরিষেবাটি চালু করবে। ইতোমধ্যে ভারত সরকার তা নিশ্চিত করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, টিসিএস ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি নতুন কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করবে এবং প্রকল্পের সমস্ত ব্যাকএন্ড দরকারকে সাপোর্ট করার জন্য এক নতুন ডেটা সেন্টার স্থাপন করবে বলে জানা গেছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, এই বছরের শেষ নাগাদ ই-পাসপোর্ট বাস্তবে পরিণত হতে পারে। নির্দিষ্ট তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

ভারত সরকার ঘোষণা করেনি যে বর্তমান সব পাসপোর্টধারীকে ই-পাসপোর্টে আপগ্রেড করতে হবে বা একটি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার জন্য বিদ্যমান পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কি না। ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া ফিজিক্যাল পাসপোর্টের মতো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও নতুন আবেদনকারীরা দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষেবাটি উপলব্ধ হয়ে গেলে তারা সরাসরি ই-পাসপোর্ট পাবেন।

ভারতে ই-পাসপোর্টগুলো (অন্যান্য দেশের মতো) দেখতে সাধারণ পাসপোর্টের মতো হবে। যেখানে একটি চিপ ইনস্টল করা আছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সময় আপনাকে, পাসপোর্ট বহন করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি