নিজস্ব প্রতিবেদক : কুয়াশার সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল হাওয়া। তবু থেমে নেই জনজীবন। গরম কাপড়ে মুড়ে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন কর্মজীবি মানুষেরা। রোববার পাবনার গাছপাড়া এলাকায়..কুয়াশার সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল হাওয়া। তবু থেমে নেই জনজীবন। গরম কাপড়ে মুড়ে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন কর্মজীবি মানুষেরা। রোববার পাবনার গাছপাড়া এলাকায় ছবি: হাসান মাহমুদ
তীব্র শীতে কাঁপছে সারা দেশ। তাপমাত্রা নেমেছে মৌসুমের সর্বনিম্ন অবস্থানে। পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ছুটে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস ঝাপটা দিয়ে যাচ্ছে। ফলে শীত আরও তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এই তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আরও প্রায় দুদিন থাকতে পারে।
এ মৌসুমে এটাই সবচেয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আজ সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সিলেটের শ্রীমঙ্গলে, ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গলে এ মৌসুমে এত ঠান্ডা আর পড়েনি। এর আগে এখানে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল গত ৩০ ডিসেম্বর ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুদিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আমাদের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আজ সকালে এখানে কুয়াশা কিছুটা ফিকে হয়ে সূর্যের আলো এসে পড়েছে। তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। আজ তাপমাত্রা ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে উত্তর দিক থেকে প্রবল ঠান্ডা বাতাস এসে ঝাপটা দিয়ে যাচ্ছে। ফলে তাপমাত্রা বাড়ালেও শীতের অনুভূতির বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়নি। শহরে লোক ও যানবাহন চলাচল অনেক কম। মাঠে কৃষিকাজ প্রায় হচ্ছেই না। শীতে জনজীবন জবুথবু হয়ে পড়েছে।
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি জানালেন, এখানে গত মাঝরাত থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। বেলা ১১টার দিকে রোদ উঠছে, তবে ঠান্ডা হাওয়ায় ঠকঠকিয়ে কাঁপছে সবাই। খুব দরকার না হলে ঘর থেকে বেরোচ্ছে না অনেকে। জীবনযাত্রা মন্থর হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ নীলফামারী, চুয়াডাঙ্গা ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পুরো ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগ, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেকাংশ এবং সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, সন্দ্বীপ ও হাতিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। তাপমাত্রার খুব বেশি হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মাঝরাত থেকে সারা দেশে ঘন কুয়াশা পড়বে।
আবহাওয়া বিভাগের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানান, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু এলাকা বাদ দিয়ে সারা দেশের ওপর দিয়েই তীব্র ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এ মৌসুমে এটাই সবচেয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আগামী তিন দিন পর্যন্ত এই শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব কার্যকর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, এরপর কমে আসবে। এ মৌসুমে আর এমন তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। চলতি মাসের মাঝ নাগাদ উত্তরাঞ্চলের দু-একটি জায়গায় হয়তো বিচ্ছিন্নভাবে শীতের তীব্রতা কিছু বাড়তে পারে।