গত মাসে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছিল সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। তবে দেশ দুটির ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তুরস্ক। অবশেষে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে নিজেদের সম্মতির কথা জানিয়েছে দেশটি। এবার সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানে আর বাধা রইল না।
আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনটি দেশ একটি যৌথ স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরের পর এই অগ্রগতি এসেছে।
ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ন্যাটো নেতারা আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে জোটে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাবেন।
ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিসতো বলেন, একে অপরের নিরাপত্তার জন্য হুমকির বিরুদ্ধে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে তিনটি দেশ একটি যৌথ স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছে।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন বলেন, এটি ন্যাটোর জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, তারা সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড থেকে যা চেয়েছিল তা পেয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী নতুন কোনো দেশ যদি ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় তবে জোটের ৩০টি সদস্য দেশকে একমত হতে হয়। প্রতিটি সদস্য দেশের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে তুরস্কের অনুমোদন ছাড়া সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদান সম্ভব ছিল না।
এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছিলেন, যে দেশগুলো তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেসব দেশকে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে সমর্থন দেবে না তুরস্ক।
এরদোয়ান আরও বলেছিলেন, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এ দুটি দেশ তুরস্কের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকে-কে সমর্থন জোগায়। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চল সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ঠিকানা। এ পরিস্থিতিতে আমরা তাঁদের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা সমর্থন করতে পারি না।