বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ১৭ হাজার ৯১৭ জন আর কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৩৭ জনের। এছাড়া এই দিন কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৫ হাজার ৯৫২ জন।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণের হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে শীর্ষে ছিল ফ্রান্স, আর এই দিন কোভিডজনিত অসুস্থতায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে।
ফ্রান্সে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৬ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মারা গেছেন ৫২ জন।
অন্যদিকে, ব্রাজিলে কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ২৯৮ জনের এবং দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৭৪৯ জন।
ফ্রান্স ও ব্রাজিল ব্যতীত বিশ্বের আরও যেসব দেশে করোনা সংক্রমণ-মৃত্যুতে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে সেসব হলো— যুক্তরাষ্ট্র (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ২ হাজার ৫৪৯ জন, মৃত ২৮১ জন), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ৮৬ হাজার ৩৩৪ জন, মৃত ৭২ জন), তাইওয়ান (মৃত ১২১ জন, নতুন আক্রান্ত ৩৫ হাজার ৮০০ জন) যুক্তরাজ্য (মৃত ৮৭ জন, নতুন আক্রান্ত ২০ হাজার ৭২০ জন), স্পেন (মৃত ৬৯ জন, নতুন আক্রান্ত ২৮ হাজার ৪৮ জন) এবং অস্ট্রেলিয়া (নতুন আক্রান্ত ৩৪ হাজার ৯২৭ জন, মৃত ৩৩ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৮ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮৭ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৮৭ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৩ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৯৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৫ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ১৩৪ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯০ জনের।