1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২

ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় এসে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারটা ফেলে দেই না।

রোববার (৩ জুলাই) মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই এবং ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন পুরস্কার ২০২২’ ও ‘শুদ্ধচার পুরস্কার ২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা রাজনীতি করি, আমাদের দল আছে। আমরা যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি, একটা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করি। যে ইশতেহারে আমরা এ দেশকে কীভাবে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত করবো সেই নির্দেশনা বা কর্ম পরিকল্পনার কাঠামো থাকে। কাজেই আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে কখনো আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারটা কিন্তু ফেলে দেইনি।

শেখ হাসিনা বলেন,  প্রতিবার বাজেট করার সময় সেটাকে অনুসরণ করেই কিন্তু আমাদের কর্মপরিকল্পনা কী নেব, কতটুকু আমরা সফল করতে পারলাম আর কতটুকু করা বাকি আছে সেটাও কিন্তু আমরা নির্দিষ্ট করি এবং আমাদের দলের আরও একটা ঘোষণাপত্র থাকে, গঠনতন্ত্র থাকে সেখানেও আমাদের কতগুলো দিক নির্দেশনা থাকে। সেটা আমরা কিন্তু বাস্তবায়ন করি এবং আমাদের যখন দলের সম্মেলন হয় তখন আবার আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করি, সেখানেও আমরা কতটুকু কাজ সম্পন্ন করতে পারলাম আর কী কী বাকি আছে বা আরও নতুন কী কী করা যেতে পারে সেটা আমরা প্রণয়ন করি। তারই ওপর ভিত্তি করে আমরা কাজ করি।

দেশকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন মেয়াদী পরিকল্পনা করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আরেকটা কাজ করেছিলাম, আমাদের আশু করণীয় কী কী বা মধ্য মেয়াদী কাজ অথবা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা। সে ক্ষেত্রে আমরা যেমন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করেছি, পাশাপাশি আমরা আমাদের প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও প্রণয়ন করে নিয়েছিলাম। ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তারই ভিত্তিতে আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করে কর্মসম্পাদন করেছি, আমরা এখন ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়নের সমস্ত পরিকল্পনাটা হয় একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে। কারণ আমরা এভাবে চিন্তা করিনি যে শুধুমাত্র ধনী থেকে ধনী হোক। আমরা চেয়েছি একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত মানুষগুলো; আমি নিজে যাদের দেখেছি ৮১ সালে আসার পর, সারা বাংলাদেশ যখন ঘুরেছি। তাদের গায়ে কাপড় নেই, পরনে ছিন্ন একটা বস্ত্র, পায়ে কোনো জুতা-স্যান্ডেল নেই, তাদের শরীরে কোনো মাংস ছিল না-হাড় আর চামড়া ছাড়া। মনে হতো যেন একেকটা কঙ্কাল হেঁটে বেড়াচ্ছে। এ রকম বিভিন্ন এলাকায় আমি নিজে আমার সচক্ষে দেখেছি। স্বাভাবিকভাবে আমাদের লক্ষ্যই ছিল এই মানুষগুলোর ভাগ্য আমাদের পরিবর্তন করতেই হবে। প্রথম পাঁচ বছরে আমাদের প্রচেষ্টাই ছিল অন্তত তাদের গায়ে একটু কাপড় হবে। পায়ে নিদেনপক্ষে এক জোড়া রাবারের চপ্পল হলেও হবে। কিন্তু সেটুকু আমরা করতে পেরেছিলাম। তারপরে মাঝখানে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি এটা ঠিক।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি