1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন

স্বর্ণ-প্রসাধনীসহ যেসব পণ্য আমদানিতে পাওয়া যাবে না ব্যাংকঋণ

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২

করোনাভাইরাস মহামারির নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠার আগের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিততে দামি গাড়ি, স্বর্ণ ও প্রসাধনীসহ বেশকিছু বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে আর ব্যাংকঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সোমবার (৪ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক মাকসুদা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোভিভ-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব এবং বহিঃবিশ্বে সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থা প্রলম্বিত হওয়ার কারণে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অধিকতর সুসংহত রাখার লক্ষ্যে আমদানি কাপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নিম্নোক্তভাবে নগদ মার্জিন হার পুনঃনির্ধারণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, মোটরকার (সেডানকার, এসইউবি, এমপিভি ইত্যাদি), ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্স, স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান ধাতু ও মুক্তা, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, প্রসাধনী, আসবাবপত্র ও সাজসজ্জা সামগ্রী, ফল ও ফুল, নন সিরিয়াল ফুড, যেমন অ-শস্য খাদ্যপণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়। যেমন টিনজাত (ক্যানড) খাদ্য, চকোলেট, বিস্কিট, জুস, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়, তামাক, তামাকজাত বা এর বিকল্প পণ্যসহ অন্যান্য বিলাসজাতীয় পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শিশুখাদ্য, অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সরঞ্জামসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, উৎপাদনমুখী স্থানীয় শিল্প ও রপ্তানিমুখী শিল্পের নানা সরাসরি আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল, কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট পণ্য এবং সরকারি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ব্যতিত অন্যান্য সব পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, উপরে উল্লেখিত ১০০ শতাংশ ও ৭৫ শতাংশ মার্জিনে আমদানিতব্য পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের বিপরীতে প্রয়োজনীয় মার্জিন গ্রাহকের নিজস্ব উৎস থেকে গ্রহণ করতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আমদানিকারকের অনুকূলে বিদ্যমান কোন ঋণ হিসাব হতে অথবা নতুন কোন ঋণ হিসাব সৃষ্টির মাধ্যমে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের বিপরীতে কোনো ধরনের মার্জিন প্রদান করা যাবে না।

এতে আরও বলা হয়, এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি