1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন

ঈদের ছুটিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ৬ নির্দেশনা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২

পবিত্র ঈদুল আজহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। কোরবানির পশুর হাটগুলোর ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঢাকা মহানগরীর সব বিপণিবিতান, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি সব লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নির্দেশনার কথা জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া আ্যন্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ।

নিরাপত্তা নির্দেশনায় বলা হয়, গত ঈদুল ফিতরে আইনশৃংঙ্খলা ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিএমপি যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। এরই ধারবাহিকতায় আমরা পবিত্র ঈদুল আজহার বিস্তারিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ডিএমপির জনবল স্বল্পতা থাকার পরও ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশের টহল বৃদ্ধিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যদি নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি হয় তাহলে পুলিশ এবং ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে সার্বিক আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধ দমনে অনেক বেশি সফল হওয়া সম্ভব। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আসন্ন ঈদে আপনার প্রতিষ্ঠান/বিপণিবিতান/আবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো-

>> নিজস্ব প্রতিষ্ঠান/আবাসন/অ্যাপার্টমেন্ট/বিপণিবিতানসমূহে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি জোরদার করা এবং যেকোনো ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিবারাত্র ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা। সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি তদারক করার জন্য মার্কেট মালিক সমিতি/ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক তদারক কমিটি করে দিবারাত্র ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে ওই কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন।

>> দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাক-পরিচিতি পুলিশের মাধ্যমে যাচাই করার ব্যবস্থা করা।

>> প্রতিষ্ঠান/বিপণিবিতান/আবাসনকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা।

>> প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা/কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি প্রদান না করে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা যাতে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারক করতে পারেন।

>> সিসি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ধারণকৃত ভিডিও হার্ড ডিস্কে ঠিক মতো রেকর্ড হচ্ছে কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা।

>> দায়িত্বরত গার্ড এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে নিকটস্থ থানা, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ কন্ট্রোলরুমের মোবাইল এবং ল্যান্ড ফোনের নম্বর রাখা, যাতে যেকোনো দুর্ঘটনা/অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা তৈরি হলে দ্রুত পুলিশকে জানানো যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি