জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে মারা গেছেন। দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। খবর বিবিসির।
এর আগে শুক্রবার সকালে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় নারা শহরে প্রচার কর্মসূচিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন আবে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানানো হচ্ছিল। একপর্যায়ে চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
এদিকে শিনজো আবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন তার দলীয় এক কর্মকর্তা। পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, নারা শহরে হামলার শিকার হওয়া স্থানের কাছাকাছি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিনজো আবে মারা যান।
সংবাদমাধ্যম বলছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় নারা শহরে প্রচার কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় জাপানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ওপর গুলি চালানো হয়। এরপরই লুটিয়ে পড়েন শিনজো। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিবিসি বলছে, প্রচার কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেকে পেছন থেকে গুলি করা হয়েছিল।
হামলার ঘটনার কিছু সময় পর বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের রাজধানী টোকিওর সাবেক গভর্নর ইয়োচি মাসুজো টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কার্ডিওপালমোনারিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিবিসি বলছে, জাপানে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করার আগে এই শব্দটি প্রায়শই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মূলত গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই শিনজো আবে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০০৭ সালে দায়িত্ব নেন শিনজো আবে। তবে অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালের আগস্টের শেষে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও এক বছর আগেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান আবে।
৬৭ বছর বয়সী শিনজো আবে সেসময় জানিয়েছিলেন, তার আলসারেটিভ কোলাইটিস রয়েছে এবং নতুন ওষুধ ব্যবহার করে তার চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বহু বছর থেকে আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগে ভুগছিলেন।