মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় লন্ডনে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ব্রিটিশ সরকার।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং বেসামরিক রাজনীতিকদের অবৈধভাবে আটকের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার দেশটির রাষ্ট্রদূত কিও জাওয়ার মিনকে তলব করে ব্রিটেন সরকার। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপি’র।
এর আগে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়াবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল অ্যাডামস। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি-সহ দেশটির বেসামরিক নেতাদের অবৈধভাবে আটকের বিষয়টি নিয়েও নিন্দা জানান তিনি।
মিয়ানমারে আটক বেসামরিক নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান নাইজেল।
এছাড়া, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও টুইটারে এক পোস্টে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানান।টুইটে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে নেত্রী অং সান সু চি-সহ বেসামরিক নেতাদের আটক ও সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় আমি নিন্দা জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে এবং বেসামরিক নেতাদের ছেড়ে দিতে হবে। ’
সোমবার ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি-সহ শাসকদলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে, এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলতে থাকায় এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে বলে জানায় বিবিসি