প্রথম ম্যাচ জিতলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজেদের একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গায় নেওয়া হয়েছে অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। তার হাত ধরেই এলো প্রথম সাফল্য।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে আঘাত হানে আরেক স্পিনার নাসুম আহমেদ। সে ওয়ান ডাউনে নামা শামার ব্রুকসকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান।
এর তিন ওভার পরেই আবার আঘাত হানে নাসুম আহমেদ। তার বলে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরে শাই হোপ। এর বল বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক নিকোলাস পরাণ।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি ওপেনার কাইল মায়ার্সকে সরাসরি বোল্ড করে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন মোসাদ্দেক। তার দারুণ এক অফ স্পিনে রীতিমতো বোকা বনে গেছেন মায়ার্স।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৬০ রান। আউট হওয়ার আগে কাইল মায়ার্স করেছেন ১৭ রান। আরেক ওপেনার শাই হোপ করেছেন ১৮ রান। শামার ব্রুকস ৫ রান ও অধিনায়ক ুনকোলাস পরান ০ রান করেন। রোভম্যান পাওয়েল ৯ রান ও ব্রনডন কিং ৫ রানে অপরাজিত আছে।
গায়ানায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের মতো এবারও আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাইগাররা। একাদশে তাসকিন আহমেদের জায়গায় নেওয়া হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনকে।
ফিল্ডিংয়ে নেমে মোসাদ্দেকের হাতেই তুলে দেওয়া হয় প্রথম ওভারের দায়িত্ব। তবে দুই ওভারের সংক্ষিপ্ত স্পেলে তেমন কিছু করতে পারেননি এ ডানহাতি অফস্পিনার। অপরপ্রান্তে মোস্তাফিজুর রহমানও উইকেটের দেখা পাননি।
আগের ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে রয়েসয়ে খেলছিলেন মায়ার্স ও হোপ। কিন্তু পঞ্চম ওভারে মেহেদি মিরাজ আক্রমণে আসতেই তেড়েফুঁড়ে মারতে যান হোপ। কিন্তু ব্যাটে-বলে করতে পারেননি।
মিরাজের ঝুলিয়ে দেওয়া আর্ম বলে এগিয়ে মারতে গিয়েছিলেন হোপ। বল তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। কিন্তু সেটি গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি সোহান। ফলে হাতছাড়া হয় প্রথম সুযোগ।
একই বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া হোপকে স্টাম্পিং করতে পারতেন সোহান। কিন্তু বলের বদলে তার হাত লেগেই ভেঙে যায় স্টাম্প। ফলে একই বলে দুই আউট থেকে বেঁচে যান হোপ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে হোপের অতীত পরিসংখ্যান উজ্জ্বল। আজকের আগে ওয়ানডেতে টাইগারদের বিপক্ষে ১১ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি ও চার ফিফটিতে প্রায় ৮৫ গড়ে ৭৬০ রান করেছেন হোপ।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসেই হোপকে সাজঘরে প্রায় ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তার ওভারের প্রথম পাঁচ বলে রান নিতে পারেননি হোপ। শেষ বলটি হালকা ঝুলিয়ে অফস্টাম্পের ওপর করেন নাসুম।
রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়েও ব্যাটে লাগাতে পারেননি হোপ, বল চলে যায় সোহানের গ্লাভসে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে তাৎক্ষণিকভাবে রিভিউ নিয়ে নিজের উইকেট বাঁচান হোপ। তিনি আরও একবার বাঁচলেও, বাঁচতে পারেননি মায়ার্স।
প্রথম স্পেলে দুই ওভার করার পর ১১তম ওভারে ফের আক্রমণে আনা হয় মোসাদ্দেককে। তার দারুণ এক অফস্পিনেই সরাসরি বোল্ড মায়ার্স। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ভোগানো মায়ার্স ৩৬ বলে ১৭ রান করে আউট হয়েছেন।