1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন

শুধু গৃহকর্মী বাবদ ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা পাচ্ছেন ট্রাম্প!

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিলেও প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে নানা সুবিধা দিয়ে থাকে আমেরিকা। প্রেসিডেন্টের সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ থেকে শুরু করে প্রায় সব রকম সুবিধার ব্যয়ই বহন করে সরকার।সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।নিয়ম অনুযায়ী এ সমস্ত সুবিধা তারও পাওয়ার কথা যদি না তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব গৃহীত হয়। সে দেশের নিয়ম অনুয়ায়ী প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের উপর ইমপিচমেন্ট কার্যকর হলে তবেই একমাত্র তাকে কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে না।
ক্যাপিটল হামলায় উস্কানি জোগানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২৫ জানুয়ারি ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব সেনেটে জমা দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।ডেমোক্র্যাটদের প্রস্তাব সেনেটে পাশ হলে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তা নিয়ে শুনানি শুরু হবে সেনেটে।ট্রাম্প এই সব সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন কি না তা পরে জানা যাবে। কিন্তু যদি সে সমস্ত সুবিধা আপাতত পাচ্ছেন, জেনে নিন।আইন অনুযায়ী আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পেনশন পাবেন। ২০২০ সাল অনুসারে প্রতি বছর প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের পেনশন বাবদ ২ লাখ ১৯ হাজার ২০০ ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট অফিস ছাড়ার পর থেকেই এই নিয়ম চালু হয়ে যায়।
প্রেসিডেন্টের অফিস ছাড়ার পর ৭ মাস পর্যন্ত সরকারি কাজ সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ দেবে প্রশাসন।প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের জন্য আলাদা কর্মী নিযুক্ত থাকবেন। তারা শুধুমাত্র প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কাজই করবেন। এদের মাইনে দেবে প্রশাসন।
প্রেসিডেন্টের অফিস ছাড়া থেকে ৩০ মাস পর্যন্ত এই কর্মীদের মাইনে বাবদ বছরে দেড় লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ১৫ হাজার টাকারও বেশি। ৩০ মাস পর থেকে এই খাতে ট্রাম্প পাবেন ৯৬ হাজার ডলার।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের যাবতীয় চিকিৎসা হবে সেনা হাসপাতালে। দ্বিতীয়বারের জন্য কেউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি স্বাস্থ্য বিমাও কিনতে পারেন।
১৯৬৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে আজীবন সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা দেওয়া হত। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ছাড়া তার স্ত্রী এবং ১৬ বছর বয়সের মধ্যে সন্তানরাও এই নিরাপত্তা পেতেন।বিল ক্লিন্টন হলেন শেষ আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট যিনি আজীবন এই নিরাপত্তা পাবেন। কারণ ১৯৯৭ সাল থেকে এই নিরাপত্তা কমিয়ে ১০ বছর পর্যন্ত করা হয়। বিল ক্লিন্টন ১৯৯৩ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কিন্তু ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আজীবন সিক্রেট সার্ভিস নিরাপত্তার এই বিলে সই করেন।ফলে বিল ক্লিন্টনের পরবর্তী সমস্ত প্রাক্তন প্রেসিডেন্টও পুনরায় আজীবন এই নিরাপত্তা পাচ্ছেন। সূত্র: আনন্দবাজার

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি