1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন

‘চারটি প্রযুক্তির বিকাশ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এখনি কাজ করতে হবে’

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য আমরা চারটি প্রযুক্তির ওপর নজর দিতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সিকিউরিটি- এই চারটি প্রযুক্তির বিকাশ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের এখনি কাজ শুরু করতে হবে।’

আজ বুধবার বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নেন্সের ২য় সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নেন্সের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি, ডিফেন্স টেকনোলজি, এগ্রিকালচারসহ ভবিষ্যৎ পৃথিবীর প্রত্যেকটা সেক্টর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবটিকস নির্ভর হবে। তাই নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ববাজারে রপ্তানি ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য এখন থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ও কাজ করতে হবে।’

দেশ এবং বিশ্বের প্রয়োজন মেটাতে মাইক্রোপ্রসেসিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সিকিউরিটিতে বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল হতে কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনে অন্যান্য দেশকে ধরতে বাংলাদেশের একটু সময় লাগলেও বাকি তিনটিতে বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম।

আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতের জন্য যে কী টেকনোলজি আমাদের দেশের জন্য এবং বিশ্বের জন্য প্রয়োজন হবে সেখানে আমাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই লক্ষ্য নিয়েই মাইক্রোপ্রসেসিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, মাইক্রোপ্রসেসিং ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে বর্তমানে পুরো বিশ্ব ২-৩টি দেশের ওপর নির্ভরশীল। ভবিষ্যৎ ডিজিটাল দুনিয়ার জন্য সব কিছুতেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কিছু না কিছু চলে আসছে। বর্তমানে আমাদের অন্য দেশ থেকেই এই টেকনোলজি আনতে হচ্ছে। আমার ধারণা, ভবিষ্যতে সবক্ষেত্রেই রোবটিকসের ব্যবহার হবে। ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি প্রতিরক্ষা, কৃষি- সব ক্ষেত্রেই রোবট শ্রমবাজার টেক ওভার করবে। তাই আমরা যদি নিজেদের রোবটিক টেকনোলজি ডেভেলপ করতে পারি তখন আমাদের অন্যদের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না।

জয় বলেন, অর্থনীতি যেহেতু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। যদিও আমাদের দেশে এই চারটি ক্ষেত্রে কিছু কিছু টেকনোলজি আবিষ্কার হচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্যদের ওপর নির্ভরশীল।

এই নির্ভরশীলতা কাটাতে প্রয়োজনীয় এসব প্রযুক্তিতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, আইওটি ও রোবটিকসে অন্যান্য দেশ খুব একটা এগিয়ে যেতে পারেনি। এটা নতুন প্রযুক্তি। তাই এটা আমরা সহজেই ধরে ফেলতে পারব। তিনি বলেন, মাইক্রোপ্রসেসরে যেসব দেশ এগিয়ে গেছে তাদের ধরতে আরও ২০ বছর সময় লাগলেও আমাদের আজ থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। ভবিষ্যতের মাইক্রোপ্রসেসর টেকনোলজিতেও আশা করি আমরা এগিয়ে যেতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় বক্তব্য দেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সভা পরিচালনা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাঈফুজ্জামান চৌধুরী, বোর্ড অব গভর্নেন্সের সদস্য, বিসিএস, বেসিস ও বাক্কো সভাপতি, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি