বিএনপির রাজপথের শক্তি যত হ্রাস পাচ্ছে মিডিয়ার সামনে তাদের নেতাদের হাস্যকর তর্জন-গর্জন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার (২৩ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি দুর্যোগ-দুর্বিপাক ও সংকটে জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে সংকটকে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পরিস্থিতিকে ভয়াবহতার দিকে ঠেলে দিতে সব ধরনের অপচেষ্টা চালায়।
আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে করতে বিএনপির দেশবিরোধী চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে বলে দাবি কওে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি নেতারা দায়িত্বশীল আচরণ করবেন এবং জনগণের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড পরিহার করবেন। না হলে দেশের জনগণ বিএনপিকে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত করবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপির মানসিক দেউলিয়াত্ব ফুটে উঠেছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, বিএনপি মহাসচিব বারবার নির্বাচনে না আসার মতো শিশুসুলভ বক্তব্য দিচ্ছেন। আমরাও বারবার বলেছি, দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে।
সংবিধানবহির্ভূত যেকোনো বিধান দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করার নামান্তর বলে উল্লেখ করেন কাদের। তিনি বলেন, শর্ত দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে থামিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র ও অগণতান্ত্রিক অশুভ অপশক্তির হাতে রাষ্ট্রক্ষমতার প্রত্যাবর্তন জনগণ মেনে নেবে না। বিএনপি তার অতীত অপকর্মের জন্য জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায় বলেই তারা সাংবিধানিক পন্থার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের বিদেশি প্রভুদের আজ্ঞাবহ সরকার গঠনের দিবা স্বপ্নে নিমজ্জিত হয়ে আছে।