প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাধ্য অসীম নয়। অংশীজনের সহযোগিতা লাগবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাধ্য অসীম নয়। রাজনৈতিক সহমত, রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করা যায়। আপনারা ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসটা নেন।
তিনি বলেন, আমাদের যতটুকু ক্ষমতা আইনে দেওয়া হয়েছে, আমরা তা প্রয়োগের চেষ্টা করবো। অনেকগুলো প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবও পেয়েছি। আমাদের ম্যান্ডেন্ট কিন্তু লিমিটেড। সংবিধান কাল, পরশু, তারপর সংশোধন হলে আমরা সেভাবেই করে দেবো। কোনো অসুবিধা নেই। আমাদের নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নাই। আমরা অবশ্যই সংবিধান মান্য করবো।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আপনারা যারা রাজনৈতিক শক্তিগুলো আছেন, আপনারাও চেষ্টাগুলো করে যান, যাতে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ অনুকূল হয়। এজন্য সকল দলেরই আন্তরিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন। যে করেই হোক জিততেই হবে, কোনোভাবেই হারবো না। এই মানসিকতা দূর করতে হবে। কোনো নির্বাচন হলে সবাই জিতবে না। অনেকেই হারবে, একজন জিতবে। এই বাস্তবতা মেনে নেওয়ার মানসিক শক্তি রাখতে হবে সকলকে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন আমরা আমাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করছি। সম্প্রতি কয়েকটি পৌরসভা, সিটিতে সে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকবে তারা আমাদের সহায়তা করবে। আমরা যেটা চাইবো আশা করি তা দেবে। না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। আমরা সহকারের কাছে যে সাহায্য সহযোগিতা চাইবো, তা আইনের আলোকেই চাইবো। সে বিষয়ে আপনারা আমাদের ভূমিকা দেখবেন। আমরা সত্যি সত্যি আমাদের আরোপিত ক্ষমতা প্রয়োগ করবো।
সিইসি আরো বলেন, কমান্ড আমার হাতে, শক্তিটা পুলিশের হাতে, শক্তিটা বিজিবির হাতে, শক্তিটা সেনা বাহিনীর হাতে। মূল শক্তিটা আমার হাতে নয়, কিন্তু কমান্ড আমার হাতে আছে। আমরা কমান্ড করবো শক্তিগুলো যেন এক্সপান্ড করে।
নির্বাচনের কাজটা খুব সহজ নয়, কঠিন। কঠিন হলেও আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। আপনাদেরকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের চিন্তায়, চেতনায় যদি ঐক্য থাকে তাহলে আমরা যেকোনো কাজ যত কঠিন হোক না কেন যতই অসাধ্য হোক না কেন আমরা সেটাকে সাধ্যের মধ্যে আনতে পারবো।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, আস্থা নাই। আস্থা না থাকার মতো কিছুই করিনি, তারপরও আস্থা নেই। সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমাদের দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, আমাদের ভূমিকা রেফারির মতো। খেলোয়ার আপনারা। এখন খেলোয়ারদের মধ্যে সমঝোতা না হলে খেলায় লাল কার্ড, হলুদ কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যায়।
সভায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজার নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল, পাঁচ নির্বাচন কমিশনাসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।