নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেছেন, আল জাজিরার প্রতিবেদনটি যে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ তার মূল প্রমাণ হচ্ছে দেশ বিরোধী বিতর্কিত ব্যক্তিদের উপস্থিতি । ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান, নেত্র নিউজের তাসনিম খলিল এবং তথাকথিত সাক্ষী সামি যে বাংলাদেশ থেকে পলাতক । এদেও উপিস্থিতিই প্রমাণ কেে এটি বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের অংশ
আল জাজিরার বিতর্কিত প্রতিবেদন এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার। পাঠকদের জন্য মোহাম্মদ আলী শিকদারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, বাংলাদেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি মহলের ইন্ধনে দেশে-বিদেশে দেশবিরোধী চক্রান্ত চলছে। আর এর অংশ হিসেবে পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির গুজব ছড়ানো হয় কিন্তু কানাডার আদালত দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি। পরে বাংলাদেশে পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থায়নে হচ্ছে। এর আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধীতা করে এই মহলটি আন্তর্জাতিকভাবে বিরোধীতা করে এবং তার নেতৃত্বে ছিলো এই ডেভিড বার্গম্যান। সেসময় আল জাজিরা প্রতিবেদনে বলেছিলো যে বাংলাদেশে ইসলামিক নেতাদের ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কোন দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধীরা ইসলামিক নেতা হলেন সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি কখনও। ফলে আল জাজিরার প্রতিবেদন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটা সূদুরপ্রসারী গভীর ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। শুধু আন্তর্জাতিকভাবেই নয় এর সঙ্গে যুক্ত আছেন দেশের তথাকথিত সুশিল এবং কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি। যারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা নেয়ার জন্য নানাভাবে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, আল জাজিরা একটি বিতর্কিত এবং জঙ্গিবাদের মদদপুষ্ট গণমাধ্যম। তারা আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেট এবং ব্রাদারহুডের সমর্থক। আর এ কারণে মিসরে আল জাজিরা নিষিদ্ধ হয়েছিলো। ২০১৭ সালে গলফ কপারেশন কাউন্সিল, সৌদি আরব, ইউএই, বাহরাইন কাতারকে বয়কট করেছিলো এবং তারা বলেছিলো আল জাজিরা টেলিভিশন হচ্ছে ‘শয়তানের আখড়া’। এখান থেকে জঙ্গিদের সমর্থন দেযা হচ্ছে। তখন এসব দেশের কাতাদের কাছে দাবি ছিলো সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইলে আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করতে হবে। আল জাজিরা টেলিভিশন যে জঙ্গিবাদ, উগ্রধর্মবাদের প্রশ্রয়দাতা এবং ব্রাদারহুড, জামায়াত ও বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের রাজনীতির সমর্থক। আর এ বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত। কাজেই তারা কি বলছে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা বাংলাদেশের মানুষের কাছে নেই।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় এরা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলো, বাংলাদেশে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের বিপক্ষে ষড়যন্ত্রে লীপ্ত। এরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এডিট করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে এবং এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর কোনো ভিত্তি নেই কারণ এডিট করে কিছু বিতর্কিত লোকদের দিয়ে একটি মনগড়া কাহিনী তৈরি করে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্রে লীপ্ত। যথন বাংলাদেশ সব সূচকে বিশ্ব দরবারে শক্ত অবস্থানে তখন বাংলাদেশকে পেছন থেকে টেনে ধরার একটি অপপ্রয়াশ আল জাজিরার এই প্রামাণ্যচিত্র।
সূত্র : বাংলা ইনসাইডার