মাহমুদুর রহমান মান্নার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতে কোন সুযোগ নাই।থানা, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে যে সব দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বিস্তৃতি সে সব দলের সংখ্যা ৫/৬ টি বিদ্যমান রয়েছে।আর বাকি কোন রাজনৈতিক দলের জাতীয় ভিওিক কোন বিস্তৃতি নেই।সেই আদলের একটি দল মাহমুদুর রহমান মান্না।গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার মত রাজনৈতিক দলগুলোর সংখ্যা খুবই কম।আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির বাইরে আপাতত আগামী ১০ বছর পর্যন্ত অন্য কোন দল বা জোটের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই।যদিও জামাত ইসলামের সাংগঠনিক বিস্তৃতি আছে।কিন্তু তাদের রাজনৈতিক বৈধতা না থাকার তারা নির্বাচন করতে পারবে না আর বাকি ডান বাম মিলে একাএিত হয়েও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার মত শক্তি সামর্থ্য সক্ষমতা কোন দলেরই নেই।হাল আমলে মান্না নুরু সাকি গং রা মিডিয়া অঙ্গনে রাজনীতিতে বেশ আলোচিত। কিন্তু ওনাদের কারও থানা, উপজেলা, জেলা পর্যন্ত রাজনীতি বিস্তৃতি নেই।অথচ ওনাদের কেউ কেউ আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখছে। বাস্তবে এর কোন ক্ষেএ নেই।সাধারণ জনগন ওনাদের সবাই মিলে ডাক দিলে সাড়া দিবেন বলে মনে হয় না। আর ওনাদের কারোরই ব্যক্তি ও দলের গ্রহন যোগ্যতা ও জনগনের সমর্থন নেই বললেই চলে।তবে নির্বাচন আসলে নানামুখী ষড়যন্ত্র বিস্তার করে। নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিজস্ব সক্ষমতা ও জন সমার্থন না থাকলেও তারা ষড়যন্ত্রের অংশ হতে অসুবিধে নেই।ক্ষমতার জন্য ষড়যন্ত্র রাজনৈতিরই একটি অংশ তবে যেখানে জনসমার্থন কিংবা দার্শনিক কোন চিন্তা থাকে না, আর যাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হবে তারা যদি সেটা জেনেই ফেলেন তাহলে ষড়যন্ত্র ও নামসর্বস্বদের ঐক্য কোন কাজে আসবে না।রাজনীতির মাঠ এখন প্রায় শূন্য। কিন্তু দার্শনিক চিন্তা দিয়ে জনগন মুখর কর্মপান্থা অবলম্বন করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন মোকাবেলায় শূন্যস্থান পূরনের কোন সুযোগ নেই। আওয়ামীলীগ বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ছাড়া অন্য কোন জোট বা দলের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবার মত কোন সক্ষমতা নেই।
এম জি কিবরিয়া চৌধুরী
সম্পাদক,দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি
চেয়ারম্যান,জেএ টিভি