বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েই চলেছে। জুলাই মাসের পর আগস্ট মাসেও বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের পালে জোর হাওয়া লেগেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, আগস্ট মাসের ৪ দিনেই ৩৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ হিসাবে প্রতিদিন দেশে আসছে ৮৬৯ কোটি টাকা। যা গত বছরের আগস্টের একই সময়ের চেয়ে ৫৬ শতাংশ বেশি।
বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা) হিসাবে টাকার অঙ্কে ৪ দিনের এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৩ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা।
বাজারে ডলারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ব্যাংকগুলো ১১০ টাকা দরেও রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে। সে হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ আরও বেশি।
গত বছরের জুলাই মাসের ৪ দিনে (১ থেকে ৪ জুলাই) ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত (১ মাস ৪ দিনে) ২৪৬ কোটি ৪০ লাখ (২.৪৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ২১০ কোটি ৭০ লাখ (২.১০ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার (২.১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা ছিলগত ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে বেশি ১২ শতাংশ।
প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা হিসাবে টাকার অঙ্কে ওই অর্থের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, ১ জুলাই শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ হিসাবে প্রতিদিন ৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার করে পাঠিয়েছেন তারা; টাকার হিসাবে প্রতিদিন দেশে এসেছে ৬৪০ কোটি টাকা।
২০২১ সালের মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ (২.১৭ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এরপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই কেবল ২০০ কোটি (২.০১ বিলিয়ন) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল।
গত বছরের জুলাই মাসে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।