টি-টোয়েন্টি মাতানো ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করলে নিশ্চিতভাবেই কাইরন পোলার্ডের নাম থাকবে। সেই পোলার্ড গত এপ্রিলে হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। বিদায়ের সময় ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়কও।
পোলার্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে। তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে রেকর্ডও গড়েছেন ব্যাটে-বলে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ক্যারিবিয়ান তারকা এবার গড়লেন অনন্য এক রেকর্ড। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খেললেন ৬০০ ম্যাচ।
পোলার্ড রেকর্ডটি গড়েছেন গতকাল ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড লিগে। লিগটি ১০০ বলের খেলা হলেও টি-টোয়েন্টির মর্যাদা পেয়েছে। সে হিসেবে ক্যারিবিয়ান তারকা লন্ডন স্পিরিটের হয়ে খেলতে নেমে ইতিহাস গড়েছেন এই সংস্করণে। উইন্ডিজ তারকা ৬০০ ম্যাচের মাইলফলক অর্জনের দিনকে স্মরণীয় করেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে। ১১ বলে ৩৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন তিনি। ম্যাচে ৪ ছক্কার সঙ্গে একটি চার হাঁকিয়েছেন। ম্যানচেস্টার অরিজিনালের বিপক্ষে তাঁর দল ৫২ রানের জয়ও পেয়েছে।
টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ খেলার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ডোয়াইন ব্রাভো। পোলার্ডের সতীর্থ ৫৪৩ ম্যাচ খেলছেন সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে। বিশ্বের আর কোনো ক্রিকেটারের ৫০০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড নেই। তিনে থাকা শোয়েব মালিক আছেন পোলার্ডের রেকর্ড থেকে অনেক দূরে। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ম্যাচ খেলেছেন ৪৭২টি। চার নম্বরে আছেন উইন্ডিজের আরেক তারকা ক্রিস গেইল। ৪৬৩ ম্যাচ খেলেছেন ইউনিভার্স বস। আর ৪২৬ ম্যাচ খেলে পাঁচ নম্বরে আছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটার রবি বোপারা। বাংলাদেশের ক্রিকেটার মধ্যে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টিতে ৩৬৭ ম্যাচ খেলেছেন এই অলরাউন্ডার।
৬০০ ম্যাচে ১১৭২৩ রান করেছেন পোলার্ড। ৫৬ হাফ সেঞ্চুরি সঙ্গে একটি সেঞ্চুরিও করেছেন ৩৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের স্ট্রাইক রেটটাও ঈর্ষণীয় ১৫১। মিডিয়াম পেসে ৩০৯ উইকেটও নিয়েছেন তিনি।