জাতীয় সংসদ এলাকায় স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন মূল নকশার বাইরে বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে এ দুটি বাসভবন বৈধ বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
আদালতে রাষ্টপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম।
রায়ের পর শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে ওই দুটি বাসভবন বৈধ।
পরিবেশবাদী সংগঠনের রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ২১ জুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন মূল নকশার বাইরে বলে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে সংসদ ভবন এলাকাকে বিশ্ব ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে ইউনোস্কোর কাছে আবেদনেরও নির্দেশ দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মাঝামাঝি সময়ে সংসদ ভবনের মূল ভবনের পাশেই খোলা সবুজ চত্বরে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিষয়টি শেষপর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্ট (আইএবি) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যৌথভাবে সংসদ সচিবালয় ও গণপূর্তের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে।
এর মধ্যে নির্মাণ করা হয় স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, জাতীয় সংসদের মূল নকশার স্থপতি লুই কান। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) জন্য আইনসভার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৬১ সালে। ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর একই বছরের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম (এবং শেষ) অধিবেশনে প্রথম সংসদ ভবন ব্যবহৃত হয়।